পাইকগাছা প্রতিনিধি :
পাইকগাছায় ৭শ বিঘা চিংড়ি ঘের লুটপাটের অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ আনারুল ইসলাম।
রবিবার দুপুরে পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্যে চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম জানান, তিনি ৮ বছর মেয়াদী ডিডমুলে নোয়ালতলা মৌজায় হারির টাকা পরিষোধ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে ৪বছর ব্যবসা করে আসছেন। গত ৫আগষ্ট সরকার পতনের সুযোগে ৬ আগষ্ট স্থানীয় আয়ুব আলী,বাক্কার সানা, ফসিয়ার রহমান, কাদের মল্লিক, গফুর সরদার গং শত শত লোক নিয়ে আমার কপিলমুনিস্থ নয়ন এন্টারপ্রাইজ ও শান্তা ফিসের অফিসে ৫আগষ্ট সন্ধায় হামলা করে নগত প্রায় ৪লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। অফিসের আসবাব পত্র ভাংচুর করে।
পরের দিন তাদের লিজ ঘেরে হামলা করে ঘেরে থাকা কর্মচারীদের মারপিট করে বাসা বাড়ি ভাংচুর করে। ঘেরে রক্ষিত ৫মন রুই মাছ, ৩৭ হাজার পিচ ভেটকি মাছ, ২২ হাজার পিচ ভাঙ্গান মাছ, ১লক্ষ পিস দাতনে মাছ, হরিনা পোনা ১৭ কেজি, কাকড়া ৪০ হাজার পিচ, পারশে পোনা ৯০ কেজি, তেলাপিয়া ৩শ মন, কলজাল ৪ পিচ, ২ হাজার পিচ চারো, জাল ৮ পিচ, ১৫০পিচ মুরগী, ১৫টি ছাগল, ১৫ বস্তা চাল, ৩শ বস্তা ফিড, ৭০ লক্ষ বাগদা পোনা ও বড় বাগদা চিংড়ি মাছ, ৬শ থান নেট জাল লুট করে নিয়ে যায়। যাতে আমাদের প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। আমি নিরাপত্তার জন্য ১০ দিন ঘেরে যেতে পারিনাই। পরবর্তীতে প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা ১৬ আগষ্ট আমরা ঘেরে যেয়ে দেখি আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পানি ছাড়া কোন মাছ ও সম্পদ আর অবশিষ্ট নেই।
প্রতিপক্ষ আয়ুব আলী জানান, আমরা আমাদের ডিডকৃত জমিতে দখলে গিয়েছিলাম।আমরা কোন ক্ষয়ক্ষতি করিনি। কেবা কাহারা লুটপাট করেছে তাদের দায়ভার নিবনা।