হোম খুলনা পাইকগাছায় লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই ১৫ ইটের ভাটা, দম্বক্তি জরিমানা দিলেই সব বৈধ

পাইকগাছায় লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই ১৫ ইটের ভাটা, দম্বক্তি জরিমানা দিলেই সব বৈধ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 156 ভিউজ

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি :

খুলনার পাইকগাছায় সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই যতেচ্ছ ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। পুড়ানো হচ্ছে কাঠ,কৃষিজমি ও নদী থেকে কাটা হচ্ছে মাটি। কোন কোন মালিকের কথা জরিমানার টাকা দিলেই সবকিছুই বৈধ।

উপজেলার চাঁদখালী, গদাইপুর, রাড়ুলী ও হরিঢালীতে ১৫ টি ইটভাটা কৃষিজমিতে অবস্থিত। এসবের প্রায় সবগুলোই জনবসতি এলাকা, সরকারী প্রতিষ্ঠান, প্রধান সড়ক ও গ্রাম ও বনাঞ্চলের ধারের কাছে গড়ে তোলা হয়েছে। মাটি কাটা হচ্ছে আবাদি জমি থেকে।পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। অধিকাংশরই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স। ধোয়ার কুন্ডুলিতে পরিবেশ হচ্ছে নষ্ট। নীতিমালা অনুযায়ী যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ১ কিলোমিটার দুরত্বে ও বনাঞ্চল ঘেকে ২ কিলোমিটার দুরত্বে ভাটা স্থাপনের কথা থাকলেও অল্প দুরত্বে এসব স্থাপিত। প্রায় প্রত্যেকটি ইটের ভাটার পাশে সরকারী প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, হাট বাজার ও ব্যস্ততম সড়ক অবস্থিত। পাইগাছায় স্থাপিত ভাটাগুলো হলো হরিঢালীর মাহবুবুর রহমান রজ্ঞুর যমুনা ব্রিকস ১,ও ২,গদাইপুর মুজিবুর রহমানের ফাইভ ষ্টার, ফতেমা রহমানের এফএফবি, চাঁদখালীর নাজমুল হুদা মিথুনের এসএমবি, মহিউদ্দিন খানের বিএকে, বাদশার খানের খান ব্রিকস, মুনছুর গাজীর এস এম ব্রিকস, আব্দুল হালিমের স্টার ব্রিকস, আব্দুল মান্নান গাজীর বিবিএম ব্রিক্স, আব্দুল জলিলের এডিবি ব্রিকস, শহাজাদা ইলিয়াসের এমএসবি ব্রিকস, সিরাজুল ইসলামের এসবিএম ব্রিকস, শফিকুল ইসলামের এমবিএম ব্রিকস, রাড়ুলী ইউনিয়নে মিনারুল ইসলাম ও ডালিম সরদারের ইটের ভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী আদালতের উদ্যোগে প্রতিবছর ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হলেও ভাটা মালিকরা জরিমানা দিয়ে যথারীতি ভাটায় ইট পুড়িয়ে আসছে।

ভাটার মালিক বিঞ্চুপুর মিথুন জানায় জরিমানার টাকা দিলে সব বৈধ হয়ে যায়। একারণে সে টাকা আগে থেকেই রেডি করে ভাটার কাজ শুরু করি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল- আমিন বলেন, আমর ইতোমধ্যে কয়েকটা ভাটা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৩ লক্ষাধিক জরিমানার টাকা আদায় করা হয়েছে। মাটি কেটে বিক্রি করার অপরাধে চারজনকে জেল দেয়া হয়েছে। ভাটা মালিক মিঠু জানান, তিন বছর যাবৎ পরিবেশের কোন ছাড়পত্র পায়নি, লাইসেন্স নেই, তবে সরকার আমাদের কাছ থেকে আয়কর ও ভ্যাট আদায় করছে। কয়েকবার ভাটা ভেংগে দেয়ার কথা শিকার করছেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন