হোম ফিচার পাইকগাছায় রাতের আধারে স্কুলের ফলন্ত কদবেল গাছ কর্তন, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে যুবলীগ নেতাদের চাপ

মোঃ আসাদুল ইসলাম, পাইকগাছা :

পাইকগাছায় এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪টি ফলন্ত কদবেল গাছ রাতের আধারে কেঁটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাছ কাটার ৪দিন অতিবাহিত হলেও স্থানীয় কয়েকজন ও যুবলীগ নেতার চাপে প্রধান শিক্ষক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছেন না বলে জানাগেছে।

উপজেলার লস্কর ইউপর খড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীররে মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির বেশকিছু গাছের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে দূর্বৃত্তরা ৪টি ফলন্ত কদবেল গাছ কেটে ফেলে রাখে। শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুজিত কুমার সরকার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন কে অবহিত করলে থানায় একটি অভিযোগ দেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও প্রধান শিক্ষক আইনগত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এলাকায় সমালোচনার জন্ম হয়। গাছ কাটার ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় কয়েকজন ও যুবলীগ নেতা প্রধান শিক্ষকের উপর চাঁপ দেয়ায় প্রধান শিক্ষক নিরুপায় হয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সুজিত কুমার সরকার জানান, রাতের আধারে কে বা কাহারা কদবেল গাছ কেটেছে জানিনা। তবে ধারনা করছি স্কুল মাঠে যে ছেলেরা ফুটবল খেলে তারা এমনটা করতে পারে। খেলার সময় কদবেল গাছের কাটায় লেগে অনেক ফুটবল নষ্ট হয়। সেকারণে হয়তো কেউ কদবেল গাছগুলো কাটতে পারে। এবিষটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। এদিকে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা প্রসেন, বিলাশ, শেখর, রহিম,জয়ন্তসহ কয়েকজন বিষটি থানা পুলিশে অভিযোগ না করার জন্য অনুরোধ করেন এবং বেশ কিছু গাছের চারা কিনে দেয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন।

যুবলীগ নেতা প্রসেন কুমার জানান, প্রতিষ্ঠানটি আমাদের বংশের দানীয় জমিতে প্রতিষ্ঠিত। আমি নিজে ফুটবল খেলিনা। কে বা কাহারা গাছ কেটেছে জানিনা। প্রধান শিক্ষক আমাদের স্কুলে ডেকেছিলো আমরা বিষটি থানা পুলিশ না করার জন্য বলিনি বরং বলেছি আপনি যেটা ভালো বোঝেন সেটা করতে।

খড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন জানান,গাছ কাঁটার বিষটি আমি প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে শুনেছি এবং আইগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।

মতামত দিন