হোম খুলনা পাইকগাছায় ইটের রাস্তায় নেই ইট, ভোগান্তি চরমে

মোঃ আসাদুল ইসলাম, পাইকগাছা :

নামেই ইটের রাস্তা অথচ রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় নেই ইট। বর্ষাকালে ইটের রাস্তা পরিণত হয় কাঁদার রাস্তায়। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষের চলাচলের অন্যতম প্রধান রাস্তা এটি। ইট বিহীন এমননি এক রাস্তার দেখা মিলেছে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলা লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া খালের পূর্ব পাড়ে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করাই এ রাস্তাটি এখন এই এলাকার বাসিন্দাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অসুস্থ, বৃদ্ধ ও প্রতিদিন চলাচলত শিক্ষার্থীদের এই বিড়ম্বনা দেখার কি কেউ নেই? এমনই এক অজানা প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর।

সারেজমিনে দেখা যায় খড়িয়া ২০ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে গোড়া বাজার পর্যন্ত একই দশা। বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল কিংবা ভ্যান চলা তো দূরের কথা প্রায় এই এক কিলো পথ পায়ে হেঁটে চলাচল করাও অনেকটা দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাস্তার দুই পাশের মাটি না দেওয়া অধিকাংশ এ চলে গেছে রাস্তা সংলগ্ন খালের ভিতরে।

অপরদিকে খড়িয়া ২০ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নির্মিত কালভাটটির ও বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রায় দেড় যুগ আগে নির্মিত হয় ছোট্ট একটা কালভাট। কালভাট টি নির্মাণের পর থেকে আর কখনো হয়নি সংস্কার। প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে হাজার হাজার জন সাধারণ খালটি পার হয় এই কালভাটের উপর দিয়ে। বেশ কয়েক বছর ধরে কালভার্টটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। কালভাটের দুপাশের পিলার গুলো অধিকাংশই ভেঙে গেছে। কিছু কিছু পিলারে ভিতরে ধারালো লোহার রড বেরিয়ে আছে। ইতোমধ্যে ঘটেছে কয়েকটি ছোট বড় দুর্ঘটনা। অদ্যবধি পর্যন্ত এই কালভার্টি সংস্কারের কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি।

অন্যদিকে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস খড়িয়া খালের দুপাশ দিয়ে অথচ এই গ্রামের মানুষের চলাচলের একটি মাত্র রাস্তা হলো বানতলা টু খড়িয়া গোড়া বাজার সড়ক। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ সড়কের অন্যতম একটি অংশ ইটের সলিং। বহু বছর পূর্বে এক কিলোমিটার পিসের রাস্তা করা হলেও দীর্ঘকাল আর কোন সংস্কার হয়নি। চলতি বছরে ২ কিলো পিচের কার্পেটিং এর কাজ শুরু হলেও চলছে মারাত্মক ধীরগতিতে। গ্রামের মাঝ থেকে নতুন এই দুই কিলোমিটার পিচের কাজ হওয়ার কারণে বিড়ম্বনা মুক্ত হতে পারিনি দুই পাড়ে বসবাসরত হাজার হাজার মানুষ। কেননা এই সড়ক শুরু হয়েছে বাইনতলা থেকে আর শুরুর স্থান থেকে রয়ে গেছে পুরনো দিনের সেই ইটের সলিং। সব মিলিয়ে দুর্দশা মুক্ত হতে পারল না এই গ্রামের মানুষ।

ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, খড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে গোড়া বাজার পর্যন্ত রাস্তার সংস্কারের জন্য প্রাথমিক ভাবে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ১লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ৬ নং লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, ইটের রাস্তা সংস্কার করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং শুকনো মৌসুমে কাজ করা হবে। কাচা সকড়ে জন্য পিচের রাস্তার বরাদ্দ পাওয়া গেছে অচিরেই টেন্ডার হবে। তখন ওখান মানুষের আর চলাচলের অসুবিধা থাকবেনা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন