খেলাধূলা ডেস্ক :
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আবারও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। তবে ব্যর্থতার মধ্যেও আছে অর্জনের গল্প। মুশফিকুর রহিমের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট খেলতে নামার আগে পাঁচ হাজার রান করতে তামিমের দরকার ছিল ১৫২ রান। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৩৩ রান করেন তামিম। বাকি থাকা ১৯ রান অ্যান্টিগা টেস্টে এসে পূর্ণ করলেন।
বাংলাদেশ যখন একের পর এক উইকেট হারাচ্ছিল তখন আশা দেখাচ্ছিলেন তামিম। যদিও মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে ইনিংস দীর্ঘ করতে পারেননি টাইগার এ ওপেনার। তিনিও বিদায় নেন ৪৩ বলে ২৯ রান করে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৮ সালে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তামিমের। ৬৭ ম্যাচের ১২৮ ইনিংসে ১০টি সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪ হাজার ৯৮১ রান করেছেন তিনি।
এর আগে অ্যান্টিগায় ১ রান তুলতেই মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারায় টাইগাররা। জয় কেমার রোচের বলে গোল্ডেন ডাকে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তামিম ইকবালকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি ওয়ানডাউনে খেলতে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও। ৫ বল খেলেও কোনো রান তুলতে পারেননি তিনি। কেমার রোচের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারছেন না মুমিনুল হক। ফর্মে ফেরার জন্য অধিনায়কত্বও ছেড়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেও শূন্য রানে আউট হয়েছেন সাবেক এ ক্যাপ্টেন। এ নিয়ে সবশেষ দশ ইনিংসের চারটিতেই ডাক মেরেছেন তিনি। দশ ইনিংসে তার সংগ্রহ দাঁড়াল ৬১।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭০ রান। ২২ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং ২ রানে মেহেদী হাসান মিরাজ।