খেলাধূলা ডেস্ক:
পল স্মলির বেতন এই মুহূর্তে বাড়ানো সম্ভব নয়। শুধু পলের বেতন বাড়ালে এলিট একাডেমির বাকি কোচদের সঙ্গে অবিচার করা হবে। এমন মন্তব্য করেছেন বাফুফে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মানিক।
কিছুদিন আগেই বাফুফের দায়িত্ব ছাড়ার গুঞ্জন উঠেছিল পল স্মলির বিরুদ্ধে। তবে দায়িত্ব না ছেড়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এদিকে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমান বেতনে সে কাজ করতে রাজি থাকলে ফেডারেশনের কোনো আপত্তি নেই।
ফুটবল ফেডারেশনের আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় পল স্মলিকে বহন করা বিলাসিতার মতোই অবস্থা। এই টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর এখান থেকে উপার্জন করেন প্রায় ১৬ লাখ টাকা প্রতি মাসে। সম্প্রতি তিনি গো ধরেছেন বাড়াতে হবে বেতন।
পল স্মলির এই আবদারে বাফুফে শুরুতে বিপাকে পড়লেও এবার শক্ত অবস্থানে ফেডারেশন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ব্রিটিশ কোচের বেতন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই ফেডারেশনের। শুধু তাই নয়, পলের বেতন বাড়ালে এলিট একাডেমির বাকি কোচদের সঙ্গে অবিচার করা হবে বলে মনে করে বাফুফে।
এ দিকে নারী দলের দায়িত্ব থেকে গোলাম রব্বানী ছোটনের হঠাৎ পদত্যাগের পর গুঞ্জন ছিল, পল স্মলি আসতে পারেন সেই জায়গায়। তবে অতিরিক্ত বেতন দাবি করায় সেই সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে ফেডারেশন।
বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মানিক বলেন, ‘আমাদের যারা লোকাল কোচ রয়েছেন, তারাও যথেষ্ট ভালো। হঠাৎ করে আমরা একজনের কথা বিবেচনা করতে পারি না। শুধু পলের বেতন বাড়াবো আর অন্যরা কিছু পাবে না, এমনটি করা সম্ভব নয়। আর এই মুহূর্তে সবার বেতন বাড়ানো সম্ভব নয়। আমাদের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়নি। যে চুক্তি আছে, তাতে আরও এক বছর কাজ করার কথা রয়েছে।
বাফুফের সঙ্গে পল স্মলির চুক্তি আছে আরও প্রায় এক বছর। কিন্তু ভারত আর মালদ্বীপের প্রলোভনে মাঝপথেই বাংলাদেশ ছাড়তে চান ব্রিটিশ এই কোচ।