আস্তর্জাতিক ডেস্ক:
সামনের বছর থেকে ভিসা ছাড়াই রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ পেতে পারেন ভারতীয় পর্যটকরা। নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দুদেশের পর্যটন সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
ইতোমধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ভারতীয় পর্যটকরা রাশিয়ায় ই-ভিসার সুবিধা পাচ্ছেন। এই সুবিধার আওতায় সাধারণত চার দিনের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ভারতীয় পাসপোর্টধারীরা এখন ৬২টি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধা পাচ্ছেন। ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের বসন্তের মধ্যেই এই তালিকায় রাশিয়া যুক্ত হতে পারে।
চলতি বছর মে মাসে, রাশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অধীন বহুপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বিশেষ প্রকল্প বিভাগের পরিচালক নিকিতা কন্ড্রাটিয়েভ বলেছেন, অভ্যন্তরীণ রাষ্ট্রীয় সমন্বয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে ভারত।
এরপর জুনে, ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করার লক্ষ্যে মস্কো ও নয়াদিল্লির মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, ভিসামুক্ত দলবদ্ধ পর্যটন ব্যবস্থা চালু করা।
কন্ড্রাটিয়েভের বরাতে আরটি নিউজ জানিয়েছে, সামনের জুনে দুদেশের মধ্যে প্রথম দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সামনের বছরের শেষ নাগাদ একটি চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে।
২০২৩ সালে ভারতীয় পর্যটকদের জন্য নয় হাজার ৫০০ ই-ভিসা অনুমোদন করেছে রাশিয়া। সংখ্যাটি তাদের মোট ই-ভিসার ৬ শতাংশ। ফলে, সহজে রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ পাওয়া পাঁচটি দেশের একটিতে পরিণত হয় ভারত।
গত কয়েক বছরে রাশিয়ায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। মস্কো সিটি ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান এভজেনি কোজলভ জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে ২৮ হাজার ৫০০ ভারতীয় নাগরিক সেখানে ঘুরতে গেছেন। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সংখ্যাটি ছিল দেড় গুণ বেশি।
কোজলভের বরাতে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিআইএস-বহির্ভূত দেশগুলোর মধ্যে মস্কোতে ভারতীয় ভ্রমণকারীদের সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। আগের বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এ সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অধিকাংশ ভারতীয় নাগরিক ব্যবসা বা কাজের জন্য রাশিয়া ভ্রমণ করেন।
কোজলভ বলেছেন, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যবসায়িক উদ্দেশে যাওয়া ভ্রমণকারীদের সংখ্যা বিচারে, সিআইএস-বহির্ভূত দেশগুলোর মধ্যে ভারত তৃতীয় অবস্থানে ছিল। দুদেশের ঐতিহাসিক দৃঢ় সম্পর্কের কারণে ভারতের বাজারকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখার বিবেচনা করছে রুশ কর্তৃপক্ষ।