বিনোদন ডেস্ক :
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনি বর্তমানে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। সেখানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে আছেন তিনি। দুই দফা রিমান্ড শেষে ১৩ আগস্ট কারাগারে পাঠানো হয় পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) নায়িকা পরীমনির জামিন আবেদন করা হবে। রোববার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় সময় নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরীমনির মামলার প্যানেল আইনজীবী আমান রেজা।
তিনি বলেন, ‘আমরা সোমবার পরীমনির মাদক মামলার জামিন আবেদন করব। স্পেশাল কোর্টের মাধ্যমে কালকেই শুনানির ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে।’
গেল ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে র্যাব। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়া যায় পরীমনির বাসা থেকে। ৫ আগস্ট র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদকে আসক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন পরীমনি।
জানান, ২০১৪ সালে ঢালিউডে অভিষেক হয় তার। ২০১৬ সাল থেকে অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়েন। প্রয়োজন মেটাতেই বাসায় মিনিবার স্থাপন করেছেন। মদ খাওয়ার লাইসেন্সও আছে পরীমনির।
ওই দিনই বনানী থানায় মাদক মামলা দায়ের করা হয় পরীমনির বিরুদ্ধে। সন্ধ্যায় সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে তোলা হয় পরীমনিকে। শুনানি শেষে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।
চারদিনের রিমান্ড শেষে পরীমনিকে আবারও রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে সিআইডি। শুনানি শেষে ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।
এদিকে পরীমনিকাণ্ডে সাধারণ ডায়েরির পর এবার মামলা করেছে সিটি ব্যাংক। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে নেট দুনিয়ায় অপপ্রচারের কারণে মামলাটি করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতনদের বিরুদ্ধে চরিত্র হননের কথা বলা হয়েছে।
রাজধানীর গুলশান থানায় শনিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে মামলাটি করেছেন সিটি ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (হেড অব কোর্ট) গাজী এম শওকত হাসান। তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান। রোববার (১৫ আগস্ট) তিনি বলেন, মামলায় আসামি ‘অজ্ঞাত’ উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এজাহারে কয়েকটি ভিডিও লিংক উল্লেখ করা হয়েছে।