হোম অন্যান্যসারাদেশ পরিবার যখন ফেলে যায়, হাত বাড়িয়ে দেয় ওরা

শিপলু জামান, ঝিনাইদহ :

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার সমাজ সেবক ব্যবসায়ী হাজী এম, এ কাদের , কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ন আহবায়ক শাহেদ কবির লিমন , ইমান আলী ফাউন্ডেশন একান্ত প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতার জন্য হাত বাড়িয়ে দিলেন ।

কালীগঞ্জ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের জানাজা দাফন ও সৎকার করার দুঃসাহস এই মহামারির সময়ে এই কাজ করার মতো কাউকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না । মুত্য ব্যক্তিদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শেষ কাজটি করার জন্য এগিয়ে এলেন কালীগঞ্জ উপজেলার সাত জন এলেম ও হাফেজ । করোনায় রোগী মারা যাওয়ার সাথে সাথে মুত্য বাড়ী গিয়ে হাজির হয়ে শেষ কাজটি করেন তারা ।

জানা গেছে , কালীগঞ্জ শহরের মাওঃ রুহুল আমীন, মাওঃ আতাউর রহমান, মাওঃ ইয়াছিন আলী, মাওঃ ফারুক নোমানী, হাফেজ হেদায়েত উল্লাহ , হাফেজ হাবিবুর রহমান, , হাফেজ আসাদুজ্জামান, সাত সদস্য বিশিষ্ঠ টিম গঠন করা হয় ।

কালীগঞ্জ উপজেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি সহযোগীতা মুত্য ব্যক্তিদের নিজস্ব উদ্যেগে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করে আসছেন । উপজেলার হিন্দু, খ্রীষ্টান ধর্মের লোকদের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যদের সৎকার করার জন্য কাজ করে থাকেন তারা ।

ইতিমধ্যে কালীগনজ শহরের আড়পাড়া হিন্দু পরিবারের ছেলে বিমল মল্লিক করোনায় মারা গেলে তার সৎকার করে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন সাতজন এলেম । কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম তাদের টিকা গ্রহণ ও পিপি দিয়ে সহযোগীতা করেছেন বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী এম ,এ কাদের সৎকারের জন্য নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শায়েদ কবির লিমন পিপি সামগ্রী দিয়েছেন।

ইমান আলী ফাউন্ডেশন করোনা রোগী বহন ও মরা দেহ আনতে পরিবহন দিয়ে সহায়তা করেছেন মাওঃ রুহুল আমীন বলেন, করোনা মারা যাওয়া ব্যক্তিকে পরিবার নিতে চায়না। এ সময় আমরা শরীয়াত মোতাবেক জানাজা পড়িয়ে দাফন ব্যবস্থ্যা করে থাকি । সরকারী সাহায্য ছাড়া তারা এ কাজ গুলি করে থাকেন ।

মাওঃ ফারুক নোমানী বলেন, আমরা করোনা ও উপসর্গে মারা যাওয়া ২৩ জনকে দাফন করেছি । সরকারের কাছ থেকে দাফন সৎকারে জন্য আমরা কোন সাহায্য সহযোগীতা পাইনি । ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সহযোগীতায় আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছি ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন