হোম আন্তর্জাতিক পরমাণু যুদ্ধের মহড়া রাশিয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যেই পরমাণু যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে দেশটির পরমাণু বাহিনী। রাজধানী মস্কোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ইভানোভা প্রদেশে এই মহড়া চালানো হচ্ছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বুধবার (১ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে রাজধানী কিয়েভ দখলের অভিপ্রায় থাকলেও সেখান থেকে সরে এসে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নজর এখন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণে।

ইউক্রেন অভিযান শুরু পর থেকেই কার্যত যুদ্ধ প্রস্তুতিতে রয়েছে রাশিয়ার পরমাণু বাহিনী। অভিযানের কয়েক দিন পরই পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেনের সহযোগিতায় সরাসরি সেনা পাঠায়নি যুক্তরাষ্ট্র। তবে রুশ অভিযানের শুরু থেকেই শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহেই দূরপাল্লার রকেট আর্টিলারি সিস্টেম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। এই অস্ত্রের মাধ্যমে রাশিয়ার ভূখণ্ডের অনেক ভেতরেও হামলা চালাতে সক্ষম হবে ইউক্রেনীয় সেনারা।

তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ কিয়েভকে শর্ত দিয়েছে, এই অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার পরমাণু বাহিনী মহড়া শুরু করেছে। এ মহড়ায় আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল লঞ্চারের সক্ষমতা ঝালিয়ে নিচ্ছে রুশ পরমাণু বাহিনী।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোর উত্তর-পূর্বে ইভানোভা প্রদেশে রাশিয়ার পরমাণু বাহিনী মহড়া চালাচ্ছে।

এই মহড়ায় রুশ পরমাণু বাহিনীর প্রায় ১ হাজার সেনা অংশ নিচ্ছে। ১০০টিরও বেশি সামরিক যানও আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল লঞ্চার ইয়ারসও মহড়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরুর দিকেই পরমাণু বাহিনীকে ‘বিশেষ’ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পুতিনের এ বক্তব্য আসলে অন্য দেশগুলোর প্রতি সতর্কবার্তা। মস্কো আসলে কারও বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে চায় না।

ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের হিসাব অনুযায়ী, রাশিয়ার কাছে আছে ৫ হাজার ৯৭৭টি পরমাণু ওয়ারহেড। ওয়ারহেড হলো পরমাণু অস্ত্রের অগ্রভাগ, যেটা পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।

সংস্থাটির হিসাবমতে, এসব ওয়ারহেডের মধ্যে প্রায় দেড় হাজার ওয়ারহেড বাতিল হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। দেশটির কাছে থাকা বাকি সাড়ে চার হাজারের মতো অস্ত্র কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র হিসেবে পরিচিত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেট, যা দিয়ে অনেক দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায়।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন