নড়াইল অফিস :
ঈদের আমেজ কাটাতে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ভ্রমন শেষে বাড়ী ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনবন্ধুর মমান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নড়াইল-ভাটিয়াপাড়া-মাওয়া সড়কের ফরিদপুরের নগরকান্দার জয়বাংলা মোড় এলাকায় মাইক্রোবাসের চাপায় ঘটনাস্থলে দুবন্ধু এবং অপরজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছে।
নিহতরা হলো নড়াইল শহরের বাসিন্দা লাহুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিএম নজরুল জমাদ্দারের ছেলে তুর্য (২২), মহিষখোলার বাসিন্দা গাজী আমিনুর রহমানের ছেলে রাউফুর রহিম (২২) ও আলাদপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের ছেলে সান (২৩)। নিহতের পরিবার ও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, নিহতরাসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে সোমবার দুপুরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে পদ্মা সেতু দেখতে যান।
সেখান থেকে বাড়িতে ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মাওয়া-ভাটিয়াপাড়া-নড়াইল সড়কের নগরকান্দা জয়বাংলা মোড় এলাকায় পৌছালে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি মাইক্রোবাসের সাথে নিহতদের মোটর সাইকেলটির সাথে ধাক্কা লাগে। এসময় তুর্য ও রাউফুর রহিম ঘটনাস্থলে মারা যান।
স্থানীয়রা গুরুতর জখম সানকে উদ্ধার করে প্রথমে মোকসেদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে জরুরী চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গোপালগঞ্জ এলাকায় পৌছালে এ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে সান মারা যান।
সানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিবেশি সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত আরা। নিহত রাউফুর রহিমের চাচা গাজী মাহফুজুর রহমান জানান, এরা তিন বন্ধু সোমবার দুপুরে মাওয়া এলাকায় পদ্মা সেতু দেখতে গিয়েছিলো। সেখান থেকে ফেরার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদেহ বাড়িতে আনার জন্য পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
নড়াইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এসএমএ জলিল জানান, নিহতরা ২০১৬ সালে নড়াইল সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাশ করে।
নড়াইল সদর থানার ওসি মোঃ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘ ফরিদপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নড়াইলের তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছি।’
এদিকে তিনবন্ধুর অকাল মৃত্যুর খবরটি শহরে ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। বন্ধুরা নড়াইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়েল সামনে জড়ো হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। পুরো শহর জুড়ে যেন নিস্তব্ধতা নেমে আসে।