হোম বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর ৩৩তম স্প্যান বসতে পারে আজ

পদ্মা সেতুর ৩৩তম স্প্যান বসতে পারে আজ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 288 ভিউজ

সংকল্প ডেস্ক :

অনুকূল আবহাওয়া আর কারিগরি জটিলতা দেখা না দিলে পদ্মা সেতুর ৩৩তম স্প্যান বসতে পারে আজ সোমবার। এর মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর চার হাজার ৯৫০ মিটার। স্প্যানটি বসানো হবে মাওয়া প্রান্তের সেতুর ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের ওপর।

৩২তম স্প্যান বসানোর নয় দিনের মাথায় বসতে যাচ্ছে এই স্প্যান। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একদিনের মধ্যেই স্প্যানটি বসানো হতে পারে। তবে পদ্মা নদীতে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমে প্রাকৃতিক কারণ বাধা হয়ে দাঁড়ালে দুদিন সময় লাগতে পারে।

গতকাল রোববার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের।

পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী সূত্র জানিয়েছে, মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ‘ওয়ান সি’ নামে ৩৩তম স্প্যানটি প্রস্তুত আছে, যা বসানো হবে মাওয়া প্রান্তে। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে স্প্যানটি সফলভাবে বসানো সম্পন্ন হবে আজ। মাওয়া প্রান্তে ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানো আছে তিনটি স্প্যান। এই স্প্যানের সারির সঙ্গেই বসানোর পরিকল্পনা প্রকৌশলীদের।

এদিকে, সেতুর ৩ থেকে ৭ নম্বর পিলার পর্যন্ত নৌযান চলাচলের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। স্প্যান বসানোর সময় নৌযান যাতে না চলাচল করে, সেদিকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছে।

পদ্মা সেতু-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের কাছে অবস্থান করছে। সকালে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে নিয়ে যাবে। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পিলারের দূরত্ব খুব বেশি না থাকায় একদিনের মধ্যেই স্প্যানটি বসানোর ব্যাপারে আশাবাদী প্রকৌশলীরা। তবে যদি পদ্মা নদীতে স্প্যান বসানোর কার্যক্রমে কোনো প্রাকৃতিক কারণ বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তবে আরো একদিন সময় লাগতে পারে।

অন্যদিকে, পদ্মা সেতুতে ৩৩তম স্প্যান বসানো গেলে বাকি থাকবে আটটি স্প্যান বসানো। স্প্যানগুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে।

এদিকে, ৪১টি স্প্যানের ওপর দুই হাজার ৯১৭টি রোড স্লাব বসানো হবে। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে এক হাজার রোড স্ল্যাব। এ ছাড়া রেললাইনের জন্য লাগবে দুই হাজার ৯৫৯টি রেল স্ল্যাব। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে এক হাজার ৬০০ রেলওয়ে স্ল্যাব।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন