এম. জুবায়ের মাহমুদ, শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) :
শ্যামনগর উপজেলা পদ্মাপুকুর ইউনিয়নে ৬৭ নং চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা সময় মতো স্কুলে আসলেও শিক্ষকেরা সময় মতো স্কুলে আসে না। অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষার্থীদের কর্মচারী শিক্ষকের জন্য।
গতকাল বুধবার সকাল ১০.০৭ মিনিটে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়।বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা যথা সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের ক্লপসিকল গেট তালা থাকায় তারা নিচে দাড়িয়ে থাকে।স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিন স্কুল খোলা হয় সকাল ১০ টার পরে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা যথা সময়ের আগে এসে মাঠে, স্কুলের নিচে খেলাধুলা করে। শিক্ষার্থীরা সময়মতো স্কুলে আসলেও শিক্ষকরা আসে তাদের ইচ্ছে মতো। স্কুলটির চারপাশে পানি থাকায় স্কুলে পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রফিকুল ইসলামের সময় মতো স্কুল খোলার কথা থাকলেও প্রায়দিনই দেরি করে আসে।আজ স্কুল খুলছে ১০:০৭ মিনিটে শিক্ষক উৎপাল কুমার। শিক্ষকদের আগে তার বিদ্যালয়ে আসার কথা থাকলেও সে আসে শিক্ষকদের পরে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম এর সাথে কথা বললে তিনি জানায়, সঠিক সময়ে স্কুল খোলার কথা দুই একদিন একটু-আধটু দেরি হতে পারে। তবে আজ কখন খুলছে সে বিষয়ে জানিনা। আমি কালীগঞ্জ থেকে স্কুল করি। স্কুলে আমি বাইরের বাকি তিন জন ইউনিয়নের তাদের সময়মতো স্কুলে যাওয়ার কথা।
এই বিষয়ে প্রাইমারি প্রাইমারি শিক্ষা অফিসার এটিও মোঃ জহিরুল ইসলাম মুঠোফোনে তার সাথে বিষয়টি বলার পরে তিনি প্রতিনিধিকে জানান এখান থেকে বেশ কিছুদিন আগে এই ৬৭ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় এর এর প্রধান শিক্ষকে নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ করা হয়েছিলো আমি ওই শিক্ষককে অনিংও দিয়েছি এবং অনেক বকাবকিও করছিলাম তবে আজকে আবার এই কাজ করছে আমি বিষয়টা দেখতেছি এই আশ্বাস তিনি দিয়েছিলেন।