শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নে পাতাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬ টায় পাতাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে প্রধান শিক্ষক ও তার ফ্যামিলি নিয়ে থাকেন। কোয়ার্টারে সন্ধ্যার সময় পাতাখালি বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনের ছেলে মোঃ হানিফ ও তার দলবল নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় পাতাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে ঢুকে প্রধান শিক্ষক কে খোঁজ করে না পেয়ে স্যারের স্ত্রীকে পায়। স্যারের স্ত্রী তাদের ভয়ে দরজা লাগিয়ে দেয় দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে স্যারকে। স্যার কে খোঁজার জন্য ঘরের দরজায় লাথি মেরে ভেঙে ফেলে পরে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে।ঘরের ভিতরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে স্যারের স্ত্রী ভয় রুম থেকে রাস্তার উপরে চলে আসে। চিৎকার করে গ্রামবাসীকে জানাই। পরে গ্রামবাসীরা সকলেই গিয়ে ওই হানিফকে ধরে। এই সংবাদ প্রধান শিক্ষক পায় এবং তিনি দ্রুত চলে আসে এসে দেখে দরজা ভাঙা এবং ঘরের ভিতরে আলমারিতে ও ড্রয়ার থেকে কাগজপত্র এলোমেলো করা ছিলো বিদ্যালয়ের বিশেষ কাগজপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই ঘটনায় অত্র এলাকার মানুষ আতঙ্কিত এবং সকলের একটাই দাবী এই হানিফকে ধরে এর পিছনে কারা আছে তাদেরকে খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে জানান আমার কাছে বেশ কিছুদিন ধরে অনেক নাম্বার থেকে ফোন আসে এবং চাদা চাই তাদের পরিচয় কেউই বলেনা হঠাৎ গতকাল আমার বাসায় এসে আমাকে না পেয়ে আমার স্ত্রীর সাথে অনেক খারাপ আচরণ করে এবং আমার ঘরের ভিতরে ঢুকিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আলমারির ড্রয়ার থেকে ৫০০০ টাকা নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অত্র শ্যামনগর থানায় অভিযোগ করলে থানা থেকে গভীর রাতে এসআই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগীরা অত্র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রধান শিক্ষকের কাছে জিজ্ঞাসা বাদ করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ওই বিদ্যালয়ে সারারাত এসআই জাহাঙ্গীর আলম ও তার সহযোগীরা সারারাত এখানে ছিলেন পরে শ্যামনগর থানায় লিখিতভাবে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করেন।
অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে ও অত্র বিদ্যালয় আশেপাশে এবং অত্র গ্রামবাসীর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। এদিক অভিযুক্ত হানিফ এর সাথে উক্ত বিষয়ে কথ জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সম্ভাব হয়নি। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।