হোম চট্টগ্রাম পচা ইলিশে সয়লাব বাজার

পচা ইলিশে সয়লাব বাজার

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 57 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে শিকার করা বিপুল পরিমাণ ইলিশ উঠছে চাঁদপুরের বাজারে। এসব মাছের বেশিরভাগই নরম ও পচা। অভিযান শেষ হওয়ার পর গত তিন দিন ধরেই চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ বাজারের এ পরিস্থিতি বিরাজমান। বিপুল পরিমাণ পচা মাছ আসায় বড় স্টেশন এলাকায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।

ক্রেতারা বলছেন, অভিযানের সময় চুরি করে ধরা এসব মাছ বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করা হয়। আর অভিযান শেষেই অসাধু ব্যবসায়ীদের হাত ধরে নিম্নমানের এসব মাছ আনা হয় বাজারে। এতে করে ঠকছেন ক্রেতারা। সুনাম নষ্ট হচ্ছে ইলিশের ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুরের। এমনকি এসব মাছের ছবিও তুলতে বাধা দিচ্ছেন গুটিকয়েক অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাছ ব্যবসায়ী জানান, মূলত মা ইলিশ রক্ষায় নিষিদ্ধ সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলে ধরা ইলিশ ট্রলার বোঝাই করে নিয়ে আসা হচ্ছে এই মাছ ঘাটে। তাই এসব ইলিশের মান খুব একটা ভালো না। তাছাড়া ভোক্তা অধিদফতরের অভিযানে কর্মকর্তারা চোখের সামনে এমন পচা মাছ দেখেও নামকাওয়াস্তে কিছু মাছ নষ্ট করেছে । বাকি সব মাছ বিক্রি হয়ে গেছে। এমন অভিযান লোক দেখানো ছাড়া কিছু নয়। এমন পচা ইলিশ বিক্রির জন্য ঐতিহ্যবাহী এই বাজারের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।

এদিকে চাঁদপুরে পচা ইলিশ বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ীকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বড় স্টেশন মাছ ঘাটে এই অভিযান চালায় জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।

দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সরগরম হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম প্রধান এই ইলিশের বাজারটি। বাজারে তাজা ইলিশের পাশাপাশি নরম ও পচা ইলিশ সরবরাহের খবর পেয়ে এই অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদফতর। খবর পেয়ে জেলা মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক ও সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত উপস্থিত হন।

জেলা ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, বাজারে পচা মাছ বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালাই। এ সময় নোনা ইলিশ তৈরিকারী ব্যবসায়ীদের কাছে গেলে এর সত্যতা পাই। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে হাজী বাবুল জমাদারের আড়তে এসে পচা ইলিশ মাছের স্তূপ দেখা যায়, যা খাওয়ার একেবারেই অযোগ্য। পচা মাছ বিক্রির দায়ে তাকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কিছু মাছ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন মাছ বিক্রি করবে না বলে ব্যবসায়ীরা অঙ্গীকার করেন।

এ বিষয়ে আড়তদার বাবুল জমাদার বলেন, এসব ইলিশ গরম পানিতে ধুয়ে ব্যবসায়ীরা নোনা ইলিশ তৈরি করে। একেবারে যেগুলো পচে গেছে সেগুলো ফেলে দিয়েছি আমরা। এমন ইলিশ আর ভবিষ্যতে বিক্রি করবো না।

জেলা মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক বলেন, কিছু মাছ পরিবহনের সময় চাপের কারণে নরম হয়ে যায়। তবে এই বাজারে তাজা ইলিশই বেশি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমি আগেও শুনেছি। বিষয়টি দেখে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন