হোম অন্যান্যসারাদেশ নড়াইলে ৪৪০ বস্তা সারসহ ট্রাক আটক

মোস্তফা কামাল, নড়াইল :

নড়াইলে সার ট্রাক ভর্তি ৪৪০ বস্তা টিএসপি আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে শহরের মুচিপোল এলাকা থেকে ট্রাকটি আটক করা হয়। অলোক কুন্ডু ওই সার নিজের দাবি করলেও তার পক্ষে কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সারসহ ট্রাকটি আটক করে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ জানায়, গণমাধ্যম কর্মিরা জানতে পারে ট্রাকে সার রাতের আধারে পাচার করা হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যার পর যশোর-ট- ১১-৪১৫৮ ট্রাকটি মুচিপোলে পৌঁছালে গণমাধ্যম কর্মিরা ট্রাকটি থামালে চালক মিজানুর রহমান জানান অলোক কুন্ডু সার বোঝাই ট্রাকটি তার অফিসের সামনে রাখতে বলেছে। পরক্ষনে বলেন, একটি তেলের পাম্পে নিয়ে যেতে বলেছে। বিষয়টি সন্দেহ হলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহমুদুর রহমানকে জানালে পুলিশ পাঠান।

এসময় সারের মালিক দাবি করা সার ডিলার অলোক কুন্ডু এসে নিজের সার দাবি করে বলেন, সার মাইজপাজা ও কালিয়া যাবে। মাইজপাড়া এক সড়ক আর অন্য সড়কে কালিয়া কিভাবে যাচ্ছে। প্রায় একঘন্টাপর কিছু মেম নিয়ে আসেন তাতে অলোক কুন্ডুর কোন সার নেই। সার লোহাগড়ার ডিলার মিলন সাহার ৭৫ বস্তা এবং কালিয়ার সার ডিলার তপন দত্তর ৩৬৫ বস্তা সার। তখন অলোককুন্ডু দাবি করেন সার না আমি ট্রাকের মালিক। ট্রাক ভাড়ার টাকা দিতে আসছিলেন আমার কাছে।

সার ডিলার অলোক কুন্ডুর নামে বে নামে সার ডিলার নিয়োগ দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে সার তুলে অন্য জেলায় কালো বাজারে বিক্রী করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নড়াইল বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পরেশন(বিএডিসি) সূত্রে জানাগেছে, সার লোহাগড়ার ডিলার মিলন সাহার ৭৫ বস্তা সার উত্তলন করেছেন অলোক কুন্ডুর গাড়ি চালক শহরের আলাদাতপুর এলাকার রমজান এবং কালিয়ার সার ডিলার তপন দত্তর ৩৬৫ বস্তা সার উত্তলন করেছেন সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের পানতিতা গ্রামের অমৃত সিকদার।

প্রতিমাসে বিএডিসি থেকে সার তোলার নিয়ম রয়েছে। ফেব্রæয়ারি মাসের ২ তারিখে সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মাসের বরাদ্দ অনুমোদন করেন। অথচ ২৭ ফেব্রæয়ারি ১৮৯.৭৫ টন সার একদিনে ডেলিভারি হয়।

তদন্ত কমিটির আহবায়ক জুবায়ের হোসেন চৌধুরী মঙ্গলবার বিকালে বলেন, আমাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করার জন্য জেলা প্রশাসক নির্দেশনা দিয়েছেন। তদন্ত কমিটি ৪-৫ সদস্যে হতে পারে এবং এক সপ্তাহর মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হতে পারে। জেলা প্রশাসক জরুরী মিঠিং এ খুলনায় রয়েছেন, সেখান থেকে ফিরে আসার পরে এসব চূড়ান্ত হবে। সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সাথে ফোনে যোগাযেগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন