হোম অন্যান্যসারাদেশ নড়াইলে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড, আসামী পলাতক

নড়াইল অফিস:

নড়াইলের কালিয়ায় ফরিদকে হত্যার দায়ে সালাম শেখকে মূত্যুদন্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা এই রায় দেন। আসামী সালাম শেখ জামিন অবস্থায় পলাতক রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৪ জুন যুবক ফরিদ শেখকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কালিয়া ডাক বাংলোর সামনে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। মুমূর্ষ ফরিদকে উদ্ধার করে কালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সে মারা যায়। এ ঘটনায় পুত্র হত্যার দায়ে পিতা আনছার শেখ বাদি হয়ে ২০১৬ সালের ২৬ জুন কালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার রায়ে বলা হয়, হত্যাকান্ডের ২ মাস পূর্বে আসামী সালাম শেখ বোরকা পরে ছুরি নিয়ে ফরিদ শেখকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে যায়। পরিবারের লোকরা স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। সেই মামলায় হাজত খেটে হত্যার কয়েকদিন পূর্বে জামিনে বের হয়ে সালাম শেখ পরবর্তীতে হত্যাকান্ড ঘটায়।

মামলার বিবরন থেকে অরো জানা যায়, কালিয়া উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের ফরিদ শেখ মেয়ের সাথে বেন্দারচর গ্রামের সালাম শেখের মেয়ে একই স্কুলে পড়াশনা করিত। এ সুবাদে ফরিদ শেখের স্ত্রী রচনা বেগমের সাথে সালাম শেখের প্রথমে মোবাইল ফোনে পরে তাদের মধ্যে প্রেমজ সর্ম্পক গড়ে উঠে। এই প্রেমের সর্ম্পকের কারনে সালাম শেখ রচনা বেগমকে পালিয়ে বিয়ে করে। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন সহয়তায় রচনা বেগমকে ফরিদ শেখের বাড়ীতে নিয়ে শান্তিপূর্ন ভাবে ঘর সংসার করতে থাকে। ফলে রচনা বেগম সালাম শেখের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ রাখে নাই। কিন্তু রচনা বেগমকে ফরিদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনতে নানা ফন্দি করে সালাম শেখ। প্রকাশ্যে নানা ধরনের চক্রান্ত,গোপনে হত্যাচেষ্টা করে না পেরে মরিয়া হয়ে ওঠে। এর জের ধরে ২০১৬ সালের ২৪ জুন সন্ধ্যায় ফরিদ কালিয়া ডাকবাংলোর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সালাম সহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাতাড়ি কোপায়।

১৬ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমানে প্রমানিত হওয়ায় আদালত ৩০২ ধারায় এই রায় ঘোষনা করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন