হোম খুলনানড়াইল নড়াইলে সৎমায়ের হাতে চার বছরের এক শিশু খুন

নড়াইলে সৎমায়ের হাতে চার বছরের এক শিশু খুন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 11 ভিউজ

নড়াইল প্রতিনিধি:

নড়াইলে সৎমায়ের হাতে চার বছরের এক শিশু খুন হয়েছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ রাশেদুল নামে হতভাগ্য শিশুটিকে তার সৎমা রহিমা প্রতিহিংসা বসে শ্বাসরোধে খুন করেছে । নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনও এলাকাবাসী এ বর্বরতার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত সৎমাসহ দুইজনকে পুলিশ তৎক্ষনাৎ আটক করেছে। অন্য কেউ জড়িত কিনা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলে জানিয়েছে।

সরেজমিন মির্জপুর গিয়ে দেখা যায়, আদরের একমাত্র শিশু সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় বাবা আব্দুর রহিম। তার বুকফাটা আর্তনাদ আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে মির্জাপুর পশ্চিমপাড়ার পরিবেশ। কোনো শান্তনাতেই থামছেনা তার বুকফাটা আর্তনাদ। অবুঝ শিশুর সঙ্গে এমন পৈশাচিকতায় শোক বিহ্বল শিশুটির অন্যান্য স্বজন এলাকাবাসীও।

পুলিশও স্বজনরা জানায়, স্বামী রহিমের সঙ্গে বনিবনা না হওয়া দুধের শিশুসন্তান রাশেদুলকে ফেলে তার মা ফারিয়া আড়াই বছর আগে চলে গিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে ঘর বাঁধেন । রাশেদুল কে ফেলে তার মা ফারিয়া চলে গেলে দুধের শিশু রাশেদুল তার দাদা দাদীর আশ্রয়ে প্রতিপালিত হয়। পরে রহিমাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করে আব্দুর রহিম। কিন্তু রহিমা তার সৎছেলে শিশু রাশেদুলকে নিজের করে নিতে পারেনি। রহিমের সংসারে আসার পর থেকেই সে রাশেদুলকে কুনজরে দেখতো হিংসা করতো। এরই এক পর্যায়ে ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে রাশেদুল নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে এদিন গভীর রাতে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই সবার সন্দেহ রাশেদুলের সৎমা রহিমার উপর গিয়ে পড়ে। তাকে জিঞ্জাসাবাদে রাশেদুলকে হত্যার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে প্রতিহিংসার বশে তার প্রতিবেশী রুমার সহযোগিতায় রাশেদুলকে শ্বাসরোধে হত্যা করে । এবং লাশ ডোবায় ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে রহিমা। তার স্বীকারোক্তীর পরেই তাকে আটকে রেখে পুলিশে দেয় নিহত রাশেদুলের পরিবার ও এলাকাকার লোকজন। সোমবার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনী প্রক্রিয়া শেষে রাশেদুলের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। স্বজনরা এ নির্মম হত্যাকন্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, রাশেদুলের মৃতদেহের গলায় নখের আচোড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে, রহিমা তার জা রুমার সহযোগিতায় রাশেদুলকে হত্যার কখা স্বীকার করেছে।আরো জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন