হোম ফিচার নড়াইলে যৌতুক লোভী ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী আদালতে মামলা দায়ের

নড়াইল অফিস :

যৌতুকের দাবী করায় ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নড়াইল বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী। মামলার বিবারণে জানা যায়,২০১৯ সালে মোঃ ইমরান হোসেনের সাথে নড়াইল শহরের ভওয়াখালি গ্রামের শাম্মীরা আক্তারের বিবাহ হয়। ইমরান হোসেন মাগুরা জেলার মোহাম্মাদপুর উপজেলার রোনগর গ্রামের মৃত জহুরুল হকের ছেলে সে চট্রগ্রাম মার্কেলটাইন ব্যাংকে কর্মরত আছেন।

তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। সন্তান জন্মের কিছুদিন স্বামী ইমরান ,শ্বাশুড়ি মনোয়ারা বেগম ,দেবর মনির হোসেন যৌতুকের দাবীতে শাম্মীরাকে চাপ দিতে থাকে । এবং ব্যবসা করার জন্য ৫লাখ টাকা দাবী করে । এত টাকা বাবার দেয়ার ক্ষমতা নাই বলে সাম্মীরা তাদের দাবি পুরন করতে অপারকতা প্রকাশ করে। এর পর থেকে শুরু হয় শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন।

এক পর্যায়ে ২৭-২-২০২০ তারিখে স্বামীর কর্মস্থাল চট্রগ্রামের বাসা থেকে ৪ মাসের শিশু সন্তানসহ বের করে দেওয়া হয়। সাম্মিরা সন্তারকে নিয়ে বাবার বাড়ি নড়াইলে চলে আসে। বাদির পিতা জমাইয়ের সাথে আপোষ মিমাংশা করার জন্য লোক মাধ্যম জামাইয়ের বাড়ির লোকদের বাড়িতে আসতে অনুরোধ করেন।

জামাই ও তার বাড়ির লোকজন ২৮-২-২০২০ তারিখে সকালে শাম্মির বাবার বাড়িতে আসে এবং স্বামী ইমরান ,শ্বাশুড়ী মনোয়ারা বেগম ,দেবর মনির হোসেন সাম্মীকে তার বাবার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে দিতে পুনরায় একই তাগিদ দেয়। এতে প্রতিবাদ করলে সাম্মীর শরিরের বিভিন্ন স্থানে এলাপাতাড়ি মারধোর শুরু করে এবং শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় সাম্মীর অত্মচিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে । মারধর করার কারণ জানতে চাইলে তারা শাম্মিরার বাবার বাড়ি থেকে কৌশলে দ্রুত পালিয়ে যায়।

শাম্মীরা আক্তার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন . ওরা শুধু আমাকে নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হযনি আমার ৪ মাসের শিশু নাহিয়ানকেও নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে আমার শ্বাশুড়ী মনোয়ারাসহ পরিবারের অন্যরা । এ ঘটনার পর দিন দিন আমার শরিরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে আমি এখনো চিকিৎসাধীন আছি । আমার শরিরিক অবস্থা ভালো না। এ ঘটনায় আমি আদালতের নিকট সুবিচার প্রার্থনা করি।

অভিযোগের বিষয়ে মোঃ ইমরান হোসেনের কাছ থেকে কিছুই জানা সম্ভব হয়নি । তিনি গত ১৬ তারিখে জামিনের আবেদন করে আদালতে হাজিরা দিলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন