নড়াইল অফিস :
নড়াইলে নবম শ্রেনীর ছাত্রীর বাবার সাহসীকতায় শ্লীলতাহানির হাত থেকে রক্ষা পেল এক স্কুলছাত্রী। গভীররাতে মেয়ের ঘরে হানা দেয়া গৃহশিক্ষকরূপী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মিঠু বিশ্বাস। তাকে প্রতিহত করতে গিয়ে মিঠুর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন বাবা কামরুজ্জামান। এ সময় মিঠুকে স্থানীয়রা আটক করে উত্তমমধ্যম দিয়ে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিঠু এর আগেও প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নিজ গ্রামের এক ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী, ছাত্রীর বোন ও দাদীকে কুপিয়ে মারাতœক জখম করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি মিঠু নিজের কুমতলব হাসিল করতে নিজ এলাকার দূরবর্তী তুলরামপুরে রাজ ছদ্দনামে ব্যাংক কর্মচারি কামরুজ্জামানের নবম শ্রেনী পড়–য়া মেয়ে ছায়মার গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হয়। সেখানে এক পর্যায়ে সে ছায়মাকে নানা কুপ্রস্তাব দিতে শুরু করে। বিষয়টি সায়মা বাবাকে জানালে মিঠুকে গৃহশিক্ষক থেকে বাদ দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠু কামরুজ্জমানকে মোবাইল ফোনে নানা হুমকিধামকির একপর্যায়ে সোমবার গভীর রাতে কৌশলে ছায়মার ঘরে প্রবেশ করে তার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়। এসময় ছায়মার চিৎকারে কামরুজ্জমান মেয়েকে রক্ষা করতে ছুটে গেলে মিঠু নিজের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কামরুজ্জমানকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মিঠুকে আটককরে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এরআগে, গত বছর ১৫মার্চ মিঠু দলবল নিয়ে সিঙ্গিয়া গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী রাবেয়াকে বাড়ি থেকে তুলে আনতে গিয়ে রাবেয়ার পরিবারের বাঁধারমুখে ব্যার্থ হয়ে রাবেয়া ও রাবেয়ার বোন তৃতিয় শ্রেনীর ছাত্রী হেনা ও তাদের দাদী জাহানারাকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। ন্যাক্কার জনক ঐ ঘটনায় সে সময় এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে মিঠু ওতার সাঙ্গপাঙ্গোর বিচার দাবিতে নানা কর্মসূচি পালন করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা বলেন, মিঠুর বিরুদ্ধে তিন নারীকে হত্যা চেষ্টাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে নড়াইল সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।