নড়াইল প্রতিনিধি :
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামে বিএনপি কর্মী হাসিম মোল্যা (৩৮) হত্যাকান্ডে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।প্রতিপক্ষরা শুধু হাসিমকে হত্যা করে থেমে থাকেনি, তার ছোট ভাই জনি মোল্যার হাত কেটে ও কুপিয়ে তাকে চিরতরে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ছেলেকে হারিয়ে মা এবং স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী পাগলপ্রায়।পূর্ব শত্রæতার ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে হাসিম মোল্যাকে নিজ বাড়ির পাশে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা।ময়না তদন্ত শেষে গত রোববার বাদ আছর তাকে স্থানীয় বাগমারা কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত হাসিম সিলিমপুর গ্রামের কাদের মোল্যার ছেলে।
নিহত হাসিমের মা জাহিদা বেগম জানান, আমার নিরীহ ছেলেকে যারা পশুর মতো কুপিয়ে নিমর্মভাবে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।কথা বলার সময় ছেলের শোকে বারবার মূর্ছা যান তিনি।হাসিমের স্ত্রী রাজকী বেগম বলেন, আমার সন্তানেরা এতিম হয়ে গেল।বিলাপ করতে করতে বলেন, আমাকে যারা বিধবা করলো তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ফাঁসি চাই। বোন নাজমিন আক্তার বলেন, আমার ভাইকে যারা খুন করেছে তারা এলাকার চিহ্নিত খুনি ও সন্ত্রাসী।তাদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।কালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক স, ম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু বলেন, বিএনপি কর্মী হাসিম মোল্যা হত্যাকান্ডে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী ও তাদের দোসররা জড়িত।অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে এবং বিএনপি নিধনে আওয়ামীলীগ মিশন নিয়ে নেমেছে।হাসিম হত্যাকান্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামীলীগ নেতা ঠান্ডু মোল্যা ও তার ভাই যুবলীগ নেতা হামিম মোল্যাসহ তাদের দলীয় লোকজনের সাথে প্রতিপক্ষ জনি মোল্যার দদ্ধ চলে আসছিল। এ দ্ব›েদ্বর জের ধরে জনি মোল্যা ও তার দলীয় লোকজনকে শায়েস্তা করতে
গত ১৫মার্চ সকালের দিকে সিলিমপুর গ্রামে ঠান্ডু মোল্যা ও তার ভাই হামিম মোল্যার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষ লোকজনর উপর হামলা চালায় এবং জনি মোল্যার ভাই হাসিম মোল্যাসহ দলের ৫-৬জনকে কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত হাসিম মোল্যা ওইদিন দুপুরে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
কালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো এজাহার দায়ের হয়নি।ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।হত্যাকান্ডে জড়িতদের আটকে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।