নড়াইল অফিস:
নড়াইলে দূনীতির অভিযোগে আলোচিত দক্ষিণ বাগডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেফালী বেগমের বিরুদ্ধে দূনীতির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ মোসলেম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে সরকারি কর্মচারি(শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩(খ) ও ৩(ঘ) ধারা অনুযায়ী অসদাচরন ও দূনীতির দায়ে অভিযুক্ত করে বিভাগীয় মামলা রুজু ও কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং পত্র প্রপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে।২০২২ সালে পাশকৃত ২২জন ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে ২০ জনের কাছ থেকে ছাড়পত্র বাবদ ১০০ থেকে ৫০০/ টাকা গ্রহণ,শিশু শ্রেণি ও প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি বাবদ ৫০ থেকে ১০০/ গ্রহন ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরাতন বই জমা নিয়ে বিক্রয় করার বিষয়ে নড়াইল জেলা প্রাথমিক অফিসারের পাঠানো তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে নড়াইল জেলা প্রাথমিক অফিসারের পাঠানো তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রধান শিক্ষক শেফালী বেগমকে নড়াইল সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পূণরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে সংযুক্তির আদেশ প্রদান করা হয়।
এ ঘটনায় দক্ষিণ বাগডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ খালিদ হাসান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তৌহিদ মিনাসহ শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করলেও প্রধান শিক্ষক শেফালী বেগমের নামে বিভাগীয় মামলাসহ শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, নড়াইল সদর উপজেলার দক্ষিণ বাগডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেফালী খানমের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা,দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।স্কুল পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্যসহ এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক শেফালী খানমের স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারনে বিদ্যালয়ের শিক্ষারমান ও পরিবেশ ধংসের দ্বারপ্রান্তে মর্মে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ ও মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেফালী খানমের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও পরিবেশ ধংসের দ্বারপ্রান্তে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রছাত্রী ভর্তি এবং ছাড়পত্রে ১০০ থেকে ৫০০ করে টাকা নেন তিনি। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার সময় গাইড বই দেখে ছাত্রছাত্রীদের লেখতে দেয়া হয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে টয়লেট পরিস্কারসহ ভবনের ভেতর এবং আঙিনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করানো হয়। শিক্ষকদের সঙ্গেও চরম দুর্ব্যবহার করেন প্রধান শিক্ষক শেফালী খানম। এছাড়া প্রতিবছর সব শ্রেণির পুরানো বই বিক্রি করে দেন। কোনো সময় শিক্ষার্থীদের একটি বা দু’টি বই হারিয়ে গেলে তাকে আর কোনো বই দেয়া হয় না।