নড়াইল প্রতিনিধি:
যৌথবাহিনির অভিযানে আটককৃতরা জামিনে বেরিয়ে এসে বুধবার (৮ মে) দুপুরে কলাবাড়িয়া গ্রামে সাংবাদিক সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভ মিছিলে ২ শতাধিক লোক অংশ নেন। এ সময় তারা বলেন, প্রতিপক্ষের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে আমাদরে পরিত্যক্ত বাড়িতে অস্ত্র রেখে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের ঘরে প্রতিপক্ষের ইউপি সদস্য সোহেলের নেতৃত্বে নাটক সাজিয়ে এটি সেনাবাহিনীকে জানানো হয়েছে। আমাদের আটক করে পরবর্তীতে যখন জানতে পেরেছেন এ অস্ত্র গুলি সবই সাজানো তখন আামদের সন্দেহ জনক ভাবে আটক দেখিয়ে থানা পুলিশ আদালতে সোপর্দ করিছেন। আমাদের দাবি সঠিক তদন্ত করে বের করতে হবে কারা এই অস্ত্র আমাদের পরিত্যক্ত বাড়িতে রেখেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে জাহিদ শেখ বলেন,পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের সোহেল মেম্বার আমাদের ফাঁসাতে পরিত্যক্ত বাড়িতে অস্ত্র রেখে প্রশাসনকে জানিয়েছেন। তারা নিজেরা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়ার জন্য পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নাটক সাজিয়েছেন। প্রশাসন বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের সন্দেহ জনক আটক দেখেয়ে চালান দিয়েছেন। ফলে আমরা জামিন পেয়েছি। প্রশাসনের প্রতি একটায় আবেদন এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ও তার বাড়ির পাশে এগুলো রাখতে পারে। অস্ত্রের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অস্ত্র যেহেতু কারো নিকট পাওয়া যায়নি সেই কারনে কারো নামে অস্ত্র মামলা দেওয়া হয়নি। ঘটনায় আটককৃতদের সন্দেহ জনক ভাবে আটক করায় তাদেরকে ১৫১ চালান দেওয়া হয়েছে।
উলেখ্য ৪ মে রাতে যৌথ বাহিনী কলাবাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে জাহিদুল শেখ (৫০), জুলফিকার (৪৫) ও শাহাবুদ্দিন শেখ (৪০) নামের ৩ জনকে আটক করা হয়। একই দিনে তারা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন।