হোম অন্যান্যসারাদেশ নড়াইলে দেলোয়ার ওরফে দেলবার গাজীর (৫৮) ক্লুলেস একটি মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ

নড়াইল অফিস:

নড়াইলে ভ্যানচালক দেলোয়ার ওরফে দেলবার গাজী কে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং মূল আসামী দেলোয়ার গাজীর আপন ছোট ভাই ইকরামুল গাজী (৩৮) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২১ জুন) রাতে নড়াইল সদর উপজেলার বিছালি ইউনিয়নের মধুরগাতি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে উপজেলার মধুরগাতী গ্রামের মৃত শুকুর আলী গাজীর ছেলে ও নিহতের আপন ছোট ভাই।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাতে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ওবায়দুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইকরামুল গাজীর স্ত্রীর সাথে নিহত দেলোয়ার গাজীর স্ত্রীর মাঝে সাংসারিক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়। বিষয়টি আসামীর স্ত্রী তাকে জানালে আসামী ইকরামুল গাজী বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে তার বড় ভাই দেলোয়ার গাজীকে জানায়।

একাধিকবার জানানোর পরেও তিনি এ বিষয়ে কোনো গুরুত্ব না দেওয়ায় ইকরামুলের স্ত্রী রাগ করে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। ঘটনার সমাধান না হলে ইকরামুলের স্ত্রী আর স্বামীর বাড়ি আসবে না বলে আল্টিমেটাম দেয়। এ জন্যে ইকরামুল তার সহযোগী বন্ধু মিলে তার ভাই দেলোয়ার ওরফে দেলবার গাজীকে সায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। পরে (২৯ মে) রাতে দেলোয়ার ওরফে দেলবার গাজীকে ইকরামুলের বন্ধু কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়।

এ সময় ইকরামুল ও তার অপর সহযোগী একত্রে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেলোয়ার কে ভ্যানে চড়ে আটঘরা গ্রাম থেকে নাউসোনা মহাশ্মশানগামী রাস্তা দিয়ে আসতে থাকে। পথিমধ্যে নূর মোহাম্মদ বিশ্বাসের মৎস্য ঘেরের নিকট আসলে ইকরামুল গাজীর বন্ধু তার গামছা দিয়ে পিছন থেকে দেলোয়ার গাজীর গলায় পেঁচিয়ে ধরে।

তখন সে ইকরামুলকে গামছা ধরে টান দিতে বলে। দুই জনে দুই পাশ থেকে গামছা টেনে শ্বাসরোধ করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এবং পুলিশের চোখ ফাকি দেয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরের অভয়নগর থানাধীন বুনোরামনগর এলাকায় তার ভ্যানটি রেখে আসামিরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামি ইকরামুল গাজী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের খলিশাখালী আটঘরা শ্মশান এর কাছ থেকে ভ্যানচালক দেলবার গাজীর (৫৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে ২৯ মে তিনি নিখোজ হন। এ ঘটনায় (৩১ মে) নিহতের সেজ ভাই গাজী মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নড়াইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন