হোম খুলনানড়াইল নড়াইলে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে একটি পরিবারের ৩ বাড়ি মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা,চালিয়েছে লুটপাট

নড়াইলে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে একটি পরিবারের ৩ বাড়ি মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা,চালিয়েছে লুটপাট

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 121 ভিউজ

নড়াইল অফিস:

জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে নড়াইল সদরের তারাপুরে একটি পরিবারের ৩ বাড়ি ভাংচুর করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে চালিয়েছে লুটপাট, লুট করা হয়েছে আসবাবপত্র সহ গরু, সোনা গহনা। বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারী) ও ৯ ফেব্রুয়ারী এই দুইদিন তান্ডব চালিয়ে ঘর ভাংলেও সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউ। এ ঘটনায় পুলিশের জরুররী সেবায় ফোন করেও কোন প্রতিকার পাননি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,তারাপুর গ্রামের নয়ন শেখ এর পরিবারের সাথে একই গ্রামের জুবায়ের শেখ পরিবারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৪ ফেব্রুয়ারী প্রতিপক্ষ জুবায়ের কে আক্রমন করে নয়ন শেখের পক্ষীয় জুরাইল শেখের লোকজন।
জুবায়ের শেখ আহত হয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনার জের ধরে জুবায়ের শেখ পক্ষীয় আসাদ শেখের নেতৃত্বে ৭ ফেব্রুয়ারী রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নয়ন শেখের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ৪ গরু লুট করে ও ঘরের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘরে অবস্থানকারী নয়ন শেখের বাবা ও মাকে তাড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ৯ ফেব্রুয়ারী রাত ১২ টা থেকে ৩ ঘন্টা ধরে ভাংচুর চালিয়ে দুটি টিনশেড দালান মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়,অপর নির্মানাধীন বাড়ির ছাদ ভেঙ্গে ফেলে।

ঘটনার সময় নয়ন শেখ এর ৪ ভাই এলাকার বাইরে থাকায় থানায় অভিযোগ করতে পারেনি। নয়ন শেখ বলেন“তারা ৩ ঘন্টা ধরে আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করছিলো,আমি খুলনার দৌলতপুর থেকে পুলিশের ৯৯৯ এ ফোন করলে তারা আমাকে মির্জাপুর ফাড়িতে যোগাযোগ করতে বলে। আমি ফাড়িতে যোগাযোগ করতে না পারায় আমার ঘরগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে।

খড়রিয়া গ্রামের প্রতিবেশি মুজাহিদ সিকদার,দ্বীন মোহাম্মদ ও জাহিদ হাসান বলেন, আমরা শুনে এসেছি ভেবেছিলাম অল্প ভেঙ্গেছে এখন দেখছি অমানবিক কান্ড। একটি মানুষের আশ্রয়স্থল ভেঙ্গে গুড়িয়ে ফেলা এটা চরম অন্যায়।

এদিকে ভাংচুরের নেতৃত্বে থাকা পাশের বাড়ির আসাদ শেখের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী রত্না বেগম বলেন,রাতে কারা ঘর ভেঙ্গেছে তা আমরা জানিনা। জমি নিয়ে বিরোধ জুবায়ের এর সাথে আমার স্বামী এ ঘটনায় জড়িত নয়। আসাদ শেখের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নড়াইল সদর থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন,মারামারির ঘটনাটি আমাদের নজরে আছে। সেটার অভিযোগ পাওয়া গেছে,তবে বাড়ি ভাংচুরের কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা ৯৯৯ এর সমাধানযোগ্য বিষয় নয় বলে তিনি জানান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন