নড়াইল অফিস :
নড়াইলে কালিয়ায় শতবছরের রাস্তা বন্ধ করে অন্তত ১৫টি পরিবারকে প্রায় দেড় মাস যাবত কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। বাড়ি যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বন্দ হয়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপনরত অসহায় পরিবারগুলো স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আকুল আকুতি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত প্রভাবশালিদের দাবি রাস্তা তাদের জায়গায়। চলাচলের রাস্তা বন্ধকরা অমানবিক বলে সচেতন এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি সবাই অভিমত দিলেও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দূর্দশা লাঘোবে নেই দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি।
এ দিকে অদৃশ্য কারনে জেলা প্রশাসকের কন্ঠেও সমস্য সমাধানে ব্যবস্থা নেয়ার গাছাড়া আশ্বাস। এলাকাবাসী জানায়, পুরুলিয়া ইউনিয়নের কলামনখালী গ্রামের শতবর্ষী এ রাস্তাটি এখানে বসবাসকারি পরিবারগুলোর বাড়ি থেকে বের হয়ে নড়াইল-কালিয়া প্রধান সড়কে যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী উড়শী গ্রামের শিক্ষার্থীরাও এ পথ দিয়ে স্থানীয় শাহবাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। এক সময় রাস্তাটি সংকীর্ণ থাকলেও সময়ের প্রয়োজনে বড় করে ইট বিছিয়ে উন্নয়ন করা হয়েছে ।
এখানকার বাসিন্দা আজু শেখদের সঙ্গে তাদের চাচাতোভাই শরিফুল শেখদের সম্প্রতি বসত বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের একপর্যায়ে প্রায় দেড় মাস আগে শরিফুলরা রাস্তার এ জায়গা নিজেদের দাবি করে এর প্রবেশ মুখে বালু ফেলে বন্ধ করে দেয়া ছাড়াও প্রাচীর তুলে লম্বালম্বীভাবে ঘিরে নিজেড়ের দখলে নিতে পিলার নির্মান করছে। এর ফেলে এখানকার কয়েকজন ভ্যান চালক ভ্যান নিয়ে বেরে হতে না রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে নিদারুন কষ্টে দিন রয়েছেন। স্বাভাবিক চলাচলে বাঁধা সৃষ্টির ফলে চরম সংকটে পড়েছেন অন্যরাও। এঅবস্থায় ভুক্তভোগীরা দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আমিরুল ইসলাম মনি বলেন,আমি এই অন্যায়ের বিরোধীতা করে সমস্য সমাধানে চেষ্টা করে যাচ্ছি আশা করি সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি তবে এভাবে রাস্তা বন্ধ করা ঠিক হয়নি। রাস্তা দিয়ে চলাচলের অধিকার সবার আছে। দুপক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রায় তিন বছর হলো ইউনিয়ন পরিষদ কতৃক রাস্তাটির ৭ফুট প্রস্থের ২০০ ফুট অংশ ইটের সলিং দ্বারা উন্নয়ন সম্মন্ন হয়।