কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দিন দিন সেবন বেড়েই চলেছে এলকোহল জাতীয় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বেলকার। বিশেষ করে পৌর শহরের দাসপাড়া গ্রামের আনাচে কানাচে হোমিও ঔষধ বেলকার শত শত খালি বোতল পড়ে আছে যত্র- তত্র। দামে সস্তা আর সেবনে ফেন্সিডিলের চেয়ে ৩ গুণ বেশী নেশা ধরায় এখন এ ঔষধ উঠতি বয়সের যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধদের কাছেও সমান আদৃত। তথ্য অনুসন্ধ্যানে জানা যায়,
গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দাসপাড়া গ্রামে দেবব্রত (৫৫), পিতা স্বর্গীয় সুকন্ঠ দাস বেলকা সেবনের ফলে মারা গেছে। এমটা অভিযোগও তার পরিবারের সদস্যদের। পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী উত্তম চন্দ্রদাস (৫৫), পিতা নরেন্দ্র চন্দ্রদাস গত বুধবার ২৮ অক্টোবর বেলকা সেবনের ফলে রক্তচাপ উঠা- নামা করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে সকাল ১১.৩০ মিনিটে সে মারা যায়।
এ ছাড়া একই গ্রামের জহরলাল দাস (৫৫), পিতা, স্বর্গীয় অনীল চন্দ্র দাস একই ঔষধ সেবনের ফলে ১২ অক্টোবর রাত ১২.৩০ মিনিটে ভাগলপুর মেডিক্যালে মারা যায়। এ ছাড়া ওই এলকোহল জাতীয় বেলকা নামক ঔষধ সেবনের ফলে দাসপাড়া গ্রামের অধ- শতবর্ষী একজন ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও অন্য একজন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
বেলকা প্রতি বোতল ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে ক্রয় করা হয়। এতে ১ লিটার পানি মিশিয়ে সেবন করতে হয়। জানা যায়, এতে ৭৬ শতাং নেশা হয়। যেখানে ফেন্সিডিলে ২৬ শতাং নেশা হয়। এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে.এম সুলতান মাহমুদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।