হোম আন্তর্জাতিক নেপালে দুদিনেই নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির পদত্যাগের দাবি জেন-জিদের

নেপালে দুদিনেই নতুন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির পদত্যাগের দাবি জেন-জিদের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 40 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ায় নেপালে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির পদত্যাগ দাবিতে আবারও রাস্তায় নেমেছে জেন-জি। তাদের অভিযোগ, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি। তাই কার্কির পদত্যাগ ছাড়া বিকল্প নেই বলে তারা দাবি করেন।

নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির পদত্যাগের দাবিতে আবারও রাস্তায় নেমেছে তরুণ বিক্ষোভকারীরা। তাদের অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনও পরামর্শ না করেই মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য কার্কির পদত্যাগই এখন একমাত্র সমাধান।

বালুওয়াটারে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জেন-জি আন্দোলনের অন্যতম নেতা সুদান গুরুংয়ের নেতৃত্বে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। হতাহতদের স্বজনরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন ।

দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রতিবাদে নেপালে আন্দোলন শুরু হলেও তা অকস্মাৎ সহিংস আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে পড়লে মঙ্গলবার পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। এরপর বিক্ষোভকারীদের পছন্দের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। তবে, শপথ গ্রহণের দুদিন না যেতেই তার বিরুদ্ধে আবারও মাঠে নামছে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা।

গুরুং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা যদি আবার রাস্তায় নামি, কেউ আমাদের থামাতে পারবে না। আমরা যেখানে (ক্ষমতায়) বসিয়েছি, সেখান থেকে উপড়ে ফেলবো।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আইনজীবী ওম প্রকাশ আর্যাল ভেতর থেকে নিজেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়ে নিচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী কার্কি রবিবার আইনজীবী ওম প্রকাশ আর্যালকে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। এর আগে তিনি রমেশ্বর খনালকে অর্থমন্ত্রী এবং কুলমান ঘিসিংকে জ্বালানি মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।

লোকমান সিং কার্কিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান করার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে রিট দায়ের করে আলোচনায় আসেন আর্যাল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট মামলায় লড়াই করছেন এবং কাঠমান্ডু মহানগর করপোরেশনের আইনি উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত সাবেক অর্থসচিব রমেশ্বর খনাল আগের সরকারের কাছে সম্প্রতি অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ৪৪৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে কুলমান ঘিসিং বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে লোডশেডিং কমিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছিলেন। তবে ওলি সরকার তাকে সরিয়ে হিতেন্দ্র দেব শাক্যকে বসায়, যা জনরোষ সৃষ্টি করেছিল।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কার্কি প্রথমে ফোনে তিনজনের সঙ্গেই আলাদাভাবে কথা বলেন। পরে সামনাসামনি আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে তিনি জ্যেষ্ঠা আইনজীবী সবিতা ভান্ডারীকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেন।

রবিবার সকালে কার্কি মন্ত্রিসভা গঠনের আলোচনা শুরু করেন। সর্বোচ্চ ১১ থেকে ১৫ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে বলে জানা গেছে। ফলে মন্ত্রীদের একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

তথ্যসূত্র: সেতোপাতি

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন