পিরোজপুর অফিস :
পিরোজপুরের নেছারাবাদে শশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে অর্পিতা মজুমদার (১৮) নামের এক গৃহবধু বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় শশুর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ রায় সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।
অর্পিতার পিতা লিটন মজুমদার বাদী হয়ে তার মেয়ের জামাতা সবুজ রায় ওরফে শৈশব রায়, শশুর শৈলেন্দ্রনাথ রায়, শাশুরী যমুনা রায় ও প্রতিবেশী অনুপ রায়কে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় শৈলেন্দ্রনাথ রায় ও অনুপ রায়কে গ্রেফতার করে শনিবার (২২মে) পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আতা গ্রামে।
মেয়ের বাবার করা মামলা সুত্রে জানাগেছে, গত মাস আগে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার বেতলোচ গ্রামের লিটন মজুমদারের মেয়ে অর্পিতাকে নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার আতা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে সবুজ রায় প্রেম করে বিয়ে করে। মেয়ের বাবা গরিব হওয়ায় বিয়েকে প্রথমে মেনে নেন নি ছেলের পরিবার।
কিন্তু এলাকাবাসীর চাপের মুখে ওই বিয়ে মেনে নিয়ে মেয়েকে ঘরে তুলেন ছেলের বাবা । কিন্তু ঘরে নেয়ার পর থেকেই অর্পিতার উপর নেমে আসে শশুর, শাশুরীর অমানুষিক নির্যাতন। একসময় বাবা মায়ের কথামত সবুজও তার স্ত্রীকে নির্যাতনে যোগ দেয়। এমনকি স্ত্রীকে ঘরে রেখে সে (স্বামী)অন্যত্র থাকতো।
গত বুধবার সকালে অর্পিতার স্বামি, শশুর ও শাশুড়ি তাকে মারধর করলে ওই রাতে অর্পিতা আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বিষ পান করে। পরে তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২১মে) সকালে তার মৃত্যু হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
নেছারাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মো. সোলাইমান হোসেন জানান, অর্পিতার বাবা চারজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। দুই আসামীকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে, পালাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।