ফুটবলের সৌন্দর্য যদি হয় বল পায়ে নানা ট্রিকস খাটিয়ে ড্রিবল করতে করতে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের পরাস্ত করা, তবে ফাউল করে সেই খেলোয়াড়দের থামিয়ে দেওয়াটা সবচেয়ে দৃষ্টিকটু দৃশ্য। তবে প্রতিপক্ষের আক্রমণ থামাতে যে কোনো মূল্যে সেরা খেলোয়াড়দের আটকানো চাই। প্রয়োজনে ফাউল করতেও নেই দ্বিধা। তাইতো নেইমার, ভিনিসিউস, লিওনেল মেসিদের ফাউলের পর ফাউল করতে দ্বিধা করে না প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা।
ফাউলের শিকার হয়ে নেইমারের কাতর মুখে মাঠে গড়াগড়ি খাওয়ার দৃশ্য তো ফুটবল মাঠের অতিপরিচিত দৃশ্য। চলতি মৌসুমেই তো লিলের বিপক্ষে মারাত্মক ফাউলের শিকার হয়ে মৌসুমই শেষ হয়ে গেছে নেইমারের। শুধু নেইমার নয়, ড্রিবলিং স্কিল ভালো যাদের, সেই খেলোয়াড়রা বাকিদের চেয়ে একটু বেশিই ফাউলের শিকার হয়। আর তাদের ইনজুরিতে পড়ার শঙ্কাও বাকিদের চেয়ে বেশি থাকে। গত এক দশকে নেইমারের রেকর্ড ৩৩বার ইনজুরিতে পড়ার তথ্যটাই তো চাক্ষুষ প্রমাণ।
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৯৪বার প্রতিপক্ষের ফাউলের শিকার হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের লেফট উইঙ্গার ভিনিসিউস। বর্ণবাদী আচরণে অতিষ্ট ভিনিসিউসকে আটকাতে ফাউল করতেও দ্বিধা করে না প্রতিপক্ষ দলগুলো। গতরাতে এল ক্লাসিকোতে আরও দুবার ফাউলের শিকার হয়েছেন তিনি।
সবচেয়ে বেশি ফাউলের শিকার হওয়া খেলোয়াড়দের তালিকায় সেরা পাঁচে থাকা পরের নামগুলো অবশ্য খুব বেশি পরিচিত নয়।
ভিনিসিউসের পর দ্বিতীয় স্থানে আছেন লিগ ওয়ানের ক্লাব মঁপেলিয়ের তেই সাভানিয়ে। লিগ ওয়ানে গত চার মৌসুমে ২০০বার সফলভাবে ড্রিবল সম্পন্ন করা সাভানিয়ে তার ড্রিবলিং স্কিলের জন্যই বারবার ফাউলের শিকার হয়েছেন। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৭১বার ফাউলের শিকার হয়েছেন তিনি।
সিরি আ’র ক্লাব লাৎসিওর মিডফিল্ডার মাত্তিয়া জাক্কানিও ৭১বার ফাউলের শিকার হয়েছেন। এই মৌসুমে লিগে ৯ গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট করে লাৎসিওকে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে তুলতে বড় অবদান রেখেছেন জাক্কানি।
সাভানিয়ে ও জাক্কানির পর আছেন ইসি পালাজোন। স্প্যানিশ ক্লাব রায়ো ভায়োকানোর এই উইঙ্গারকে ৬৯বার ফাউল করেছে প্রতিপক্ষ। চলতি মৌসুমে ৬ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট করেছেন এই স্প্যানিশ।
উদিনেসের হয়ে চলতি মৌসুমে ৭টি অ্যাসিস্ট করা ইসাক সাকসেসকে এখন পর্যন্ত ৬৮বার ফাউল করেছে প্রতিপক্ষ। পঞ্চম স্থানে প্রিমিয়ার লিগের দল ক্রিস্টাল প্যালেসের উইঙ্গার উইলফ্রেড জাহা। তাকে ৬৬বার ফাউল করেছে প্রতিপক্ষ।
চলতি মৌসুমে ৬৫বার ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। ১৯ ফেব্রুয়ারি লিলের বিপক্ষে আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার পর পিএসজি আরও পাঁচবার মাঠে নেমেছে। এই ম্যাচগুলোয় খেলার সুযোগ পেলে সংখ্যাটা এ আরও বাড়ত তা বলাই যায়। তালিকায় আরও আছেন ম্যানচেস্টার সিটির জ্যাক গ্রিলিশ। ৬০বার ফাউলের শিকার হয়েছেন তিনি।