হোম জাতীয় নির্বিচারে প্লাস্টিক না পোড়াতে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আহ্বান

জাতীয় ডেস্ক:

বায়ুদূষণ রোধে নির্বিচারে প্লাস্টিক না পোড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) পরিবেশ অধিদফতরে আয়োজিত এক সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়।

‘ইন্টিগ্রেটেড এপ্রোচেচ টু ওয়ার্ড সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ইউজ অ্যান্ড মেরিন লিটার প্রিভেনশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে সামুদ্রিক পরিবেশসহ প্লাস্টিক দূষণের ওপর একটি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তি তৈরি করার জন্য ইন্টার গভর্নমেন্টাল নিগোশিয়েটিং কমিটির ৩য় বৈঠকের পর্যালোচনার ওপর এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সঞ্জয় কুমার ভৌমিক।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়া মাইক্রো প্লাস্টিক ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। তাই প্লাস্টিকের সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকি উজ জামান, পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পরিবেশ) মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য, প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম খান প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএনসি ফোকাল অব বাংলাদেশ ও উপসচিব মো. মাজেদুল ইসলাম এবং পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন।

মূল প্রেজেন্টেশনে বলা হয়, নিম্নধারার দেশগুলো ক্রমাগত সংলগ্ন সামুদ্রিক পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে উচ্চ মূল্য পরিশোধ করছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ প্রস্তাব করেছে যে ‘নিম্নধারার উন্নয়নশীল দেশগুলোর’ সংজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করার এবং আসন্ন আন্তর্জাতিকভাবে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক প্লাস্টিক চুক্তির পাঠ্যের সঙ্গে সংযুক্তিতে নিম্নধারার দেশগুলোর একটি বিস্তৃত তালিকা যুক্ত করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ নিম্নধারার উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি নিবেদিত তহবিল প্রবাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য নিম্নধারার উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ছাড়ের সময়কালেরও পরামর্শ দিয়েছে।

এ ছাড়াও দূষণকারী বেতন নীতি, ইপিআর প্রক্রিয়া ইত্যাদি ব্যবহার করে সব সাবসিডিয়ারি সংস্থায় নিম্নধারার দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার এবং অনুশীলন আপস্ট্রিম দেশগুলো থেকে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন