রাজনীতি ডেস্ক:
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নির্বাচনের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাঝে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে কোনো পন্থি নেই। জাতীয় পার্টিতে পন্থি একটাই, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। আমরা সবাই এরশাদপন্থি।’
‘জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠায় বেগম রওশন এরশাদের অনেক অবদান ও ত্যাগ আছে। তিনি নির্বাচন করলে, আমরা তাকে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করব। বেগম রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদ এখনও মনোনয়ন ফরম নেননি।’
চুন্নু বলেন, ‘বেগম রওশন এরশাদ গতকালও (বৃহস্পতিবার) আমাকে ফোন করেছিলেন, আজ হয়তো তারা মনোনয়ন ফরম নিতে পারেন। হরতাল-অবরোধের কারণে আমাদের অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকায় আসতে পারেননি, তাদের জন্য ফরম বিতরণের সময় এক দিন বাড়ানো হয়েছে। বেগম রওশন এরশাদের জন্য কোনো সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই, তিনি যখন বলবেন তখনই মনোনয়ন ফরম দেয়া হবে। তিনি চাইলে মনোনয়ন ফরম তার বাসায় পৌঁছে দেয়া হবে। তিনি আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, ‘প্রায় সব আসনেই আমাদের একাধিক মনোনয়ন ফরম বিতরণ হয়েছে। প্রত্যাশিত প্রার্থীদের ইন্টারভিউ চলছে, আশা করছি ২৭ নভেম্বর আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। কতদিন ধরে পার্টি করছেন এবং এলাকায় কতটা জনপ্রিয়তা আছে তা বিবেচনা করেই প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া হবে। মনোনয়ন বোর্ডের মতামত বোর্ড সভাপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে জানানো হবে, তিনি মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন। পার্টির চেয়ারম্যান ইচ্ছে করলে মনোনয়ন পরিবর্তন করতেও পারবেন।’
নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কেউ যদি কাজ করে অথবা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ যদি প্রার্থী হয় তাকে আর পার্টিতে রাখা হবে না বলেও জানান জাপা সচিব।
শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (মেয়র), প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও সৈয়দ দিদার বখত।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে।