হোম অন্যান্যসারাদেশ নির্বাচন না দেওয়াসহ মোংলা বন্দর ষ্টিভিডরিং ওয়াচম্যান সংঘের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

মোংলা প্রতিনিধি:

মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন না দেওয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ‘মোংলা বন্দর ষ্টিভিডিরং ওয়েলফেয়ার সংঘে’র নেতাদের বিরুদ্ধে। সংঘের সভাপতি মানিক মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল ফকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এরই মধ্যে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে সাধারণ সদস্যরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতারা মেয়াদ শেষ হলে সংঘের নির্বাচন দিবেন। তাদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর। কিন্তু নানা অযুহাত দেখিয়ে সংঘের নেতারা নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করে তালবাহানা করছেন। এছাড়া সংঘের নামে উত্তরা ব্যাংক মোংলা শাখায় দুটি একাউন্টে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার সরকারি অনুদান হিসেবে জমা থাকলেও সেই টাকা তারা তছরুপ করেছেন। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা বিবরণী না থাকার কারনে একাধিকবার তারিখ দিয়েও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার অডিট করতে পারেননি। অভিযোগে আরও বলা হয়, নতুন নির্বাচনের জন্য সংঘের সকল সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। কিন্তু নির্বাচন আর দেয়নি বর্তমান নেতারা। তবে বিধি অনুযায়ী সাধারণ নির্বাচন না দেয়া এবং তহবিল তছরুপ দেশের প্রচলিত শ্রম আইন, সমাজসেবা নীতিমালা ও সংঘের গঠনতন্ত্রের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এসব বিষয়ে মোংলা সমাজসেবা এবং বাগেরহাট সমাজসেবা অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন সূরাহ হচ্ছেনা বলে জানান সংঘের সাবেক সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা।

মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন না দেওয়া এবং সংঘের নামে টাকা তছরুপের বিষয়ে মোংলা বন্দর ষ্টিভিডরিং ওয়াচম্যান ওয়েলফেয়ার সংঘের সভাপতি মানিক মোল্লা দাবি করেন, সংঘের লাইসন্সের অডিট শেষ না হওয়ায় নির্বাচন দিতে পারছি না।

আর সংঘের নামে ব্যাংকে রাখা টাকা তছরুপের বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক বাবুল ফকির বলেন, টাকাটা তছরুপ হয়নি, এই টাকা সংঘের সাংগঠনিক জুয়েল শিকারী এবং দুই মেম্বর আঃ সালাম ও দিদার কাজীকে ধার হিসেবে দেওয়া হলেও এখনও তারা টাকাটা ফেরত দেয়নি।

এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন স্বীকার করে মোংলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংঘের সভাপতি মানিক মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল ফকিরকে অফিসে ডেকে ব্যাখ্যা চাইলে তারা খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দোহাই দেন। সে নির্বাচন হয়ে গেলেও এখন নির্বাচন না দেওয়ায় এই অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহে বাগেরহাট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন