হোম আন্তর্জাতিক নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিষয়ে চীনকে বাইডেনের সতর্কবার্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

এক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সফরে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এ সময় তাইওয়ানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করতে জিনপিংকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন বাইডেন। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি চীনা প্রেসিডেন্টকে স্পষ্টভাবে বলেছি, তাইওয়ানের নির্বাচনে আমি কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ চাই না। আমেরিকা ‘এক চীন’ নীতির প্রতি আস্থাশীল এবং তাতে বদল আনার কোনো পরিকল্পনা আমার নেই।

বাইডেনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এখনও নিজে কিছু বলেননি জিনপিং। তবে চীনের প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ এবং দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক নেতা বলেছেন, আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলতে চেয়েছেন যে, যতদিন চীন এবং তাইওয়ানের সম্পর্কের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে না, ততদিন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।

আগামী জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে তাইওয়ানে। তবে স্বায়ত্তশাসিত এই দ্বীপভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী রাজনীতিকরা সেই নির্বাচনে চীনা হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছেন। তাদের সেই আশঙ্কা নিতান্ত অমূলকও নয়; কারণ গত দেড়-দুই বছর ধরে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে।

তাইওয়ান এক সময় চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ১৯৪৯ সালে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বেইজিং দখল করার পর বেইজিংয়ের কমিউনিস্টবিরোধী শাসকগোষ্ঠী তাইওয়ানে পালিয়ে যান এবং চীনের ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাইওয়ান। সেই থেকে তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে আসছে। দ্বীপ ভূখণ্ডটির নিজস্ব সরকার, অর্থনীতি ও মুদ্রাও রয়েছে। তবে চীন এখনও তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ডের অংশ মনে করে এবং বিশ্বের অধিকাংশ দেশ এখনও তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিবর্তে ‘ওয়ান চায়না’ বা ‘এক চীন’ নীতির প্রতি আস্থা জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে গত শতকের পঞ্চাশের দশকে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির আওতায় তাইওয়ানের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রি করে আসছে দেশটি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন