আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে ফল কারচুপির বিরুদ্ধে গত তিনদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের দল পিটিআই’র হাজার হাজার কমী-সমর্থক। এবার পেশোয়ার-ইসলামাবাদ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ ফলে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররা।
তবে কোনো দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়নি। এমতাবস্থায় জোট সরকার গঠনের কথা ভাবছেন নওয়াজ শরিফের পিএমনএল-এন ও বিলাওল ভূট্টো জারদারির পিপিপি।
তবে নির্বাচনে ফল কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকেই পাকিস্তান জুড়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে রাজধানী ইসলামাবাদে বিক্ষোভ চলছে। দলীয় পতাকা, নির্বাচনী প্রতীক ‘ব্যাট’ আর ইমরান খানের মুখোশ পরে অংশ নিয়েছেন দলটির হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। এদিকে লাহোরের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে রোববার পিটিআইয়ের কয়েক ডজন নেতাকর্মীকেও আটক করে পুলিশ।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পেশোয়ার-ইসলামাবাদ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পিটিআই নেতাকর্মীরা। এদিকে বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রদেশের সরকারি মুখপাত্র জান আচাকজাই বিক্ষোভকারীরদের পরাজয় মেনে নিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচিত অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬৬টি আসনের মধ্যে ২৬৫টির (একটিতে স্থগিত) পাশাপাশি প্রাদেশিক সরকার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়।
পরদিন শুক্রবারের (৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে পুরো ফলাফল ঘোষণা করার কথা থাকলেও পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) তা পারেনি বা করেনি। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ফল প্রকাশ শুরু হলেও তা ছিল খুবই ধীরগতিতে। পরে রোববার পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ করে ইসিপি এতে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৯৩ জনই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই-সমর্থিত। এরপরই পিএমএল-এন ৭৫ আসনে, পিপিপি ৫৪ ও এমকিউএম ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১৭টি আসন। জাতীয় পরিষদে সরকার গঠনের জন্য ১৩৪টি আসন প্রয়োজন।