খেলাধুলা ডেস্ক :
রাজশাহী অঞ্চলে তৃণমূল ক্রিকেট নিয়ে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। এবার সুযোগ পেলে কাজ করতে চান দেশের জন্য। তুলে আনতে চান আগামীর ক্রিকেটার- জানিয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট।
রাজশাহী বিভাগ থেকে প্রথমবারের মতো কাউন্সিলরশিপের পাশাপাশি প্রার্থীও হয়েছেন সাবেক এ অধিনায়ক। দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলা এবং অযোগ্যতার কারণেই বিসিবির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
পরিচালক পদপ্রার্থী খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘গত আড়াই মাস ধরে ভাবছিলাম, আমাদের ক্রিকেটটা কোথায় যেন থমকে গেছে। আমাদের এ অঞ্চলে একসময় চ্যাম্পিয়ন দল গঠন হতো। এখন কোনো কিছুতেই তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। কর্তাদের এই অযোগ্যতার কারণেই আমি নির্বাচনে এসেছি।’
ক্রিকেটটা থমকে গেছে। সাধারণ কোনো মানুষ এ কথাটা বললে, হয়তো তর্ক করা যেতো। কিন্তু যিনি বলছেন তিনি বাংলাদেশের সাবেক একজন অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। ক্রিকেটের ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার পরও যিনি সংগঠক, কোচ হিসেবে জড়িয়ে আছেন রাজশাহীর ক্রিকেটের সঙ্গে। তাই তার কথা আমলে না নেওয়াটা বোকামি।
বিসিবির নির্বাচন এলে অবশ্য এমন কথার ফুলঝুরি ছোটান সবাই। এটা হয়তো আমাদের নির্বাচনী সংস্কৃতিও। কারণ এখানে ভোটের আগেই কেবল প্রার্থীদের চোখে দেখা যায়। এরপর তারা হয়ে যান ডুমুরের ফুল। তবে ক্রিকেটেরদের তো এমন হওয়ার কথা ছিল না। মাঠের মানুষগুলো মাঠে থাকবেন এটাই তো স্বাভাবিক। দিনের পর দিন কর্তাদের অবহেলা আর গঞ্জনা সইতে সইতে, বাধ্য হয়ে নির্বাচনী ময়দানে নেমে গেলেন এ ফাইটার ক্রিকেটার।
খালেদ মাসুদ পাইলট আরও জানান, ‘একসময় জেলার ক্রিকেটারদের সঙ্গে কর্তাদের যোগাযোগ ছিল। এখন যিনি আমাদের অভিভাবক তার সঙ্গে ৮ বছর ধরে কারো কোনো সম্পর্ক নাই। তিনি কোনো কিছুতেই আসেন না। তাকে পাওয়া যায় না। এ চেয়ারটা তো কোনো অলংকারিক পদ না। এখানে দায়িত্ব নিলে আপনাকে কাজ করতে হবে।’
যুদ্ধের ময়দানে নামলেও, এখনই জয় পরাজয় নিয়ে ভাবছেন না পাইলট। কাউন্সিলরদের ভোট যিনিই পাবেন, চাওয়া যেন কাজ করেন ক্রিকেটের স্বার্থে। আর যদি লেগে যায় লটারির টিকিট, তাহলে কাজ করতে চান তৃণমূল নিয়ে।
খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হবো কি হবো না সেটা নিয়ে ভাবছি না। এটা কাউন্সিরলদের ওপর। তারা যাকে চাইবেন সে আসবে। তবে আমি আসলে কাজ করতে চাই তৃণমূল নিয়ে।’
রাজশাহী বিভাগ থেকে নির্বাচিত হবেন একজন পরিচালক। সেখানে পাইলটের প্রতিদ্বন্দ্বী পাবনা জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলরশিপ নেওয়া সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী।