রাজনীতি ডেস্ক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে; তাই তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন।
তবে কারও সঙ্গে সমঝোতা বা আসন ভাগাভাগি করে নয়; ৩০০ আসনেই তারা দলীয় প্রার্থী দেবেন বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মলনে এসব কথা জানান চুন্নু।
এর আগে গত সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিন সময় সংবাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
চুন্নু বলেন, নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনে বিশ্বাসী নয় জাতীয় পার্টি। তাই এবারও অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি। প্রক্রিয়া শুরু করলেও নির্বাচনে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয় এটি। নির্বাচনী আস্থা এখনও আসেনি। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মহাজোটে নয়, এবার এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি।
সংলাপ বিষয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, সরকারি দল ও বিএনপি কেউ আগ্রহী নয় সংলাপে। তবে এখনও সময় আছে আলোচনায় বসার।
তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই; জিএম কাদেরের নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ।
এর আগে রোববার (১৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বঙ্গভবনে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এরপর জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরপন্থিরা বলেন, রওশন এরশাদ দলের পৃষ্ঠপোষক। দলীয় সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার তার নেই।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, দলের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে এখতিয়ার নেই রওশন এরশাদের। তিনি কার সঙ্গে কী আলাপ-আলোচনা করেছেন, সেটা ধরার মধ্যে পড়ে না। এটাকে আমরা আমলে নিচ্ছি না।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রওশন এরশাদের দেখা করার বিষয়ে জাতীয় পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান চুন্নু। তবে দলে কোনো বিভেদ নেই বলেও জানান।
এরই মধ্যে রওশনপন্থিরা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছে।
তবে জিএম কাদেরপন্থিরা নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল। তারা কোনো জোটে নয়, এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।