হোম রাজনীতি নির্বাচনে অংশ নেবে না আরও দুই দল

রাজনীতি ডেস্ক:

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের নামে প্রহসন হতে যাচ্ছে এমন অভিযোগ করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম এবং বাবুল সরদার চাখারী ও আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি)।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নিজ কার্যালয়ে দল দুটির যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় গণফোরামের তথ্য ও গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুটি দলের কোনোটিই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত নয়। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেতারা মনে করেন- জনআকাঙ্ক্ষা ও গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত উপেক্ষা করে ক্ষমতাসীন সরকারের ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন কমিশন তথাকথিত তপশিল ঘোষণা করেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের নিশিরাতের ভোট ডাকাতির নির্বাচনে এই সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে। ঠিক সেভাবে পুনরায় জনগণের অধিকার ছিনতাইয়ের নীল নকশা তৈরি করেছে এই সরকার।

গণফোরাম ও বিপিপির নেতারা মনে করেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বিরোধীমতের নেতাকর্মীদের ওপর গায়েবি মামলা, হামলা ও নির্বিচারে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া দ্রুত রায়ে সাজা দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না। জোর-জবরদস্তির কোনো নির্বাচনে এ দেশের জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। যেসব দল বা জোট জনবিরোধী এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করবে, তারাও দেশের জনগণের নিকট বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হবে এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণফোরাম ও বিপিপি জনগণের দাবি বাস্তবায়নে এই তপশিল বাতিল, সংসদ বিলুপ্তিকরণ এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে গণআন্দোলন অব্যাহত রাখবে।

মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের এই অংশের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি মহিউদ্দিন আবদুল কাদের; বিপিপির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী, কো-চেয়ারম্যান পারভীন নাসের খান ভাসানী ও মহাসচিব মো. আবদুল কাদের।

এ ছাড়াও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে যাচ্ছে না কমিশনে নিবন্ধিত ধর্মভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ অনেক দল। এর মধ্যে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক চারটি দল— ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও খেলাফত মজলিস বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন