বাণিজ্য ডেস্ক:
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর ফের কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়েছে পর্যটকের আগমন। সব বয়সী মানুষ মেতেছে সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে শুরু করে নীল জলরাশিতে। আর পর্যটকের আগমনে হাসি ফুটেছে সৈকতপাড়ের ব্যবসায়ীদের।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতে ছাড়েনি শীতের কুয়াশা। শীতল জলরাশিতে আছড়ে পড়ছে ঢেউ। এ ঢেউয়ে সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত ভ্রমণপিপাসুরা। যেন সমুদ্রে এসে সব ক্লান্তি দূর করছেন তারা। এদিকে সমুদ্রের গর্জন অন্যদিকে মানুষের হৈ-হুল্লোড়। সাগরতীর যেন পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে।
ঢাকার মিরপুর থেকে আসা রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘জীবনে প্রথমবার কক্সবাজার আসলাম। বিশাল সাগর দেখে মুগ্ধ আমি।’
আরেক পর্যটক ইয়াছিন আরাফাত বলেন, ‘শীতের কারণে সাগরের পানি বেশ ঠান্ডা। তারপরও সাগরের পানি ছেড়ে উঠতে মন চায় না।’
রাজশাহী থেকে আসা নুর আহমদ বলেন, ‘পরিবারের ১০ সদস্য নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে আসলাম। এখন কক্সবাজার সৈকতে ঘুরছি, সমুদ্রস্নান করছি। আর বাকি দুদিন মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি, পাতুয়ারটেক, ইনানী ও বৌদ্ধ বিহার ঘুরতে যাব।’
পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে এসে চড়ছেন ঘোড়ার পিঠে, তুলছেন ছবি। একই সঙ্গে জেড স্কি’তে উঠে উপভোগ করছেন গভীর সাগরের কুয়াচ্ছন্ন নীল জলরাশি। আর ব্যস্ততার যেন শেষ নেই ফটোগ্রাফারদের। পর্যটকের আগমনে মহা খুশি সৈকতপাড়ের ব্যবসায়ীরা।
জেড স্কি ব্যবসায়ী সোনা মিয়া বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পর্যটকের চাপ বেড়েছে কক্সবাজারে। এতে আমাদের জেড স্কি ব্যবসা খুবই ভালো যাচ্ছে।’
সৈকতের ফটোগ্রাফার গফুর উদ্দিন বলেন, ‘পর্যটক বাড়াতে আয়ও বেড়েছে। দুপুর পর্যন্ত ২ হাজার টাকার ব্যবসা হয়েছে।’
সাগরতীর থেকে শুরু করে নীল জলরাশি, সবখানে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। তাই পর্যটকরা নিরাপদে সমুদ্রস্নান করছে করছে বলে জানিয়েছে লাইফ গার্ড সংস্থা।
কক্সবাজার সি সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার ইনচার্জ সাদেক হোসেন বলেন, ‘সৈকতের ৩ টি পয়েন্টে প্রচুর পর্যটক। তাদের সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তায় ২০ জনের বেশি লাইফ গার্ড নিয়োজিত রয়েছে।’
পর্যটকরা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ছাড়াও কেনাকাটায় মেতেছেন সৈকতপাড়ের শামুক-ঝিনুক ও বার্মিজ পণ্যের দোকানগুলোতে।