হোম রাজনীতি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে জুলাই সনদ প্রকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: নাহিদ ইসলাম

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে জুলাই সনদ প্রকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: নাহিদ ইসলাম

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 63 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে জুলাই সনদ প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সনদ শুধুমাত্র একটি নীতিগত দলিল নয়। বরং জুলাই আন্দোলনে যারা রাস্তায় নেমে পরিবর্তনের স্বপ্নে প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতাও বটে।

বুধবার (৫ জুন) দুপুরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা ও সংস্কার প্রক্রিয়া ঘিরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিরাজমান গভীর আগ্রহ ও বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল ও চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিষয়ে আলোচনা করতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক পথ কেবলমাত্র জনআকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘এই জুলাই সনদ নির্বাচন সংস্কার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক অংশগ্রহণের একটি সুস্পষ্ট ভিত্তি স্থাপন করবে এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।’

তিনি নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং পরবর্তীতে একটি গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির কথা জানান, যাতে সব পর্যায়ের জনগণের অংশগ্রহণ ও প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।

নাহিদ জানান, দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা ও সংস্কার প্রক্রিয়া ঘিরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিরাজমান গভীর আগ্রহ ও বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল এবং চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠক। এতে এনসিপি নেতাদের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের একটি আন্তরিক ও ভবিষ্যতমুখী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে এমন কাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এনসিপি প্রতিনিধিদলের সামগ্রিক রাষ্ট্র ভাবনাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং তাদের চিন্তাশীল অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি চীনের ‘অ-হস্তক্ষেপ’ (নন-ইন্টারফেয়ারেন্স) নীতির পুনরুল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতার ব্যাপারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে ধারাবাহিক ও গঠনমূলক সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যত গঠনে তরুণদের ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম এবং যুগ্ম সদস্যসচিব তাহসীন রিয়াজ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন