ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ
ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া পারবাজার কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনদের আটক রেখে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। লাইসেন্স না থাকায় যশোরের সিভিল সার্জন এই ক্লিনিক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে ছিলেন। সেই নির্দেশ অমান্য করে ক্লিনিকের মালিক প্রকাশ্যে সেই ক্লিনিক চালাচ্ছেন।
অভিযোগকারিরা জানান, হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকোমরা গ্রামের নিলু চন্দ্র দাসের মেয়ে স্বরসতি রাণীর (২২) ডেলিভারি পেইন উঠলে শুক্রবার রাতে তাকে বাঁকড়া পারবাজার কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে নেয়া হয়। ক্লিনিকের মালিক আব্দুর রশিদ তাকে নরমালে ডেলিভারি করাবে বলে ৩ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। পরে তিনি নিজেই আলট্রাসনো করে বাচ্চার পজিশন খারাপ দেখে রোগীর অভিভাবককে সিজার করার পরামর্শ দেন।
তার জন্য তাদের ১২ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান। তখন রোগীর অভিভাবকরা তাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে চাইলে তাদের কাছে ৩ হাজার টাকা চায় ক্লিনিক মালিক আব্দুর রশিদ। ফলে তারা ক্লিনিক মালিককে না জানিয়ে চলে আসে এবং বাঁকড়া সায়রা সার্জিক্যাল ক্লিনিকের ভর্তি হয়। পরে রোগীর বাবা নিলু চন্দ্র দাস ও আত্মীয় রতন কুমার দাস আলট্রাসনো রিপোর্ট আনতে কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে গেলে তাদের আটকে রাখা হয়। আব্দুর রশিদ তাদের পাওণা টাকা পরিশোধ করতে বলেন। পরে বাঁকড়া সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রাজিবুল হাসানের হস্তক্ষেপে ৫শ টাকা দিয়ে তারা ছাড়া পান।
এ ব্যাপারে কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘রোগী আসার পরে আমি আলট্রাসনো করে দেখি বাচ্চার পজিশন খারাপ। তারা সিজার করাতে চাইলে আমি ১২ হাজার টাকা খরচ হওয়ার কথা বলি। সর্বশেষ ৮ হাজার টাকার চুক্তি হয়। কিন্তু ওরা আমাদের কাউকে কিছু না বলে ক্লিনিক থেকে পালিয়ে যায়। এ জন্যই তারা পরে আসলে পাওনা টাকার জন্য তাদের আটকে রাখা হয়।’ আলট্রাসনো করার বৈধতা তার আছে কিনা জানতে চাইলে আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আমি কোন রিপোর্ট করিনি। অভিজ্ঞতার আলোকে শুধুমাত্র বাচ্চার পজিশন দেখেছি।’
উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘লাইসেন্স না থাকায় যশোর সিভিল সার্জন স্যার অভিযান চালিয়ে তাদের ক্লিনিক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও তারা খুলে রেখেছে। এজন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।