বাণিজ্য ডেস্ক:
নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আলু, পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। তবে বাজার চলছে বাজারের নিয়মে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আলু, পেঁয়াজের বেঁধে দেয়া দামে ভ্রুক্ষেপ নেই ব্যবসায়ীদের। কম দামে কিনতে না পারায় নির্ধারিত দামে বিক্রি সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি বিক্রেতাদের। এদিকে অভিযানের পাশাপাশি গুদামে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ ক্রেতাদের।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর টাউনহল মার্কেট, হাতিরপুল কাঁচা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এক কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করতে হবে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায়। আর পাইকারিতে বিক্রি হবে ২৭ থেকে ২৮ টাকায়, উৎপাদক পর্যায়ে যা বেচাকেনা হবে ১৪ থেকে ১৫ টাকায়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য সূত্রে এভাবেই প্রতিকেজি আলু হাত বদলে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অথচ এসবে ভ্রুক্ষেপ নেই ব্যবসায়ীদের। বাজার চলছে বাজারের নিয়মে। রাজধানীর টাউনহল মার্কেটে খুচরায় আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি পর্যায় থেকেই বাড়তি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। এরপর শ্রমিক ও পরিবহন খরচসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক খরচ রয়েছে। তাই আলু সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা যাচ্ছে না।
একইভাবে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকায় যে মানের দেশি পেঁয়াজ ভোক্তার হাতে পৌঁছানোর কথা, তা পাইকারিতে বিক্রি হবে ৫২ থেকে ৫৩ টাকায়। আর উৎপাদক পর্যায়ে বিক্রি হবে ৪১ থেকে ৪২ টাকায়। অথচ খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি পর্যায়ে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরে।
তাদের দাবি, সরকার নির্ধারিত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ পাইকারি ও আড়ৎ পর্যায় থেকেই বাড়তি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে।
এ অবস্থায় বেঁধে দেয়া দাম বাজারে কার্যকর করতে এসব পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করার পরামর্শ ভোক্তাদের। তারা বলেন, শুধু খুচরা পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করলে দাম কমবে না। পাইকারি ও আড়ৎ পর্যায়েও অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
আর বাজারে দাম নির্ধারণের প্রভাবের বিষয়ে ক্রেতাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান জানান, পেঁয়াজ ও আলু ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাড়তি দামে কেনায় এখনই নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়। কম দামে নতুন পণ্য আসলে; সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব হবে।