বিনোদন ডেস্ক:
বলিউডে শাহরুখ খান এবং অভিনেত্রী কাজল জুটি যতটা জনপ্রিয় ঠিক ততটাই জনপ্রিয় শাহরুখ-প্রীতি জিনতা জুটি। বিশেষকরে শাহরুখ-প্রীতির ‘বীর জারা’, ‘কাল হো না হো’, ‘কাভি আল বিদা না কেহনা’ আজও বলিউডের শ্রেষ্ঠ রোম্যান্টিক ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
শাহরুখ-প্রীতি জুটির ‘কাল হো না হো’ মুক্তি পেয়েছিলো ২০০৩ সালে। সেখানে আরও অভিনয় করেছিলেন সাইফ আলি খান। সমালোচক ও বাণিজ্যিকভাবে প্রশংসিত হয়ে সেই বছরের সর্বোচ্চ আয়করা সিনেমা হয়ে ওঠে। এটি এখন পর্যন্ত ক্ল্যাসিক সিনেমাগুলোর একটি।
এই সিনেমায় মূলত তিন বন্ধুর মধ্যে ত্রিকোণ প্রেমের গল্প উঠে এসেছে একে অপরের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ত্যাগের ওপর ভিত্তি করে। শাহরুখের চিরাচরিত রসবোধ মিশ্রিত অভিনয় সব অভিনেতাকে ছাপিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের মনে গেঁথে আছে আজও। আমানের চরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখ। এই চরিত্রটি আমাদের শেখায়, কীভাবে চরম বিপদের মুখেও জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করা যায়। অথচ আপনি কি জানেন, এই সিনেমায় অভিনয়ই করতে চাননি শাহরুখ। বরং বন্ধু সালমান খানকে তার বদলে কাস্ট করার অনুরোধ করেছিলেন তিনি।
পরিচালক হিসাবে এই ছবির হাত ধরেই আত্মপ্রকাশ করেন নিখিল আদভানি। সম্প্রতি ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে সিনেমার পরিচালক নিখিল আদভানি দিয়েছেন কিছু অবাক করা তথ্য। ছবিটির চার দিন শুটিং করার পর পিঠে ব্যথা অনুভব করেন শাহরুখ এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। আদভানি বলেন, ‘‘ও (শাহরুখ খান) তখন বলেছিল, ‘আমাকে সিনেমা থেকে বাদ দিন। আমি সালমানকে (সালমান খান) ফোন করে দিচ্ছি। ওকে নিয়ে কাজ শুরু করুন।’ কিন্তু আদভানি তাতে রাজি হননি। এরমধ্যে দ্রুত অস্ত্রোপচারের জন্য জার্মানি যেতে হয় শাহরুখকে। ৬ মাসের দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর আবারও শুরু হয় সিনেমার শুটিং।’’
পরিচালক আরও জানিয়েছেন, শাহরুখের চাপ ছিল কারণ ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ এবং ‘কাভি খুশি কাভি গাম’ এত ভালো করেছে। যদি পরবর্তী সিনেমা ভালো না করে তবে সমস্ত দোষ নিখিল আদভানির ওপর পড়তো। তাই চাপ ছিল বেশ। তবে তারা সেটা উতরে গিয়েছিলেন ভালোভাবেই। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে গ্লোবাল বক্স অফিসে ৮১.৯৫ কোটি টাকা ব্যবসা করেছিল ‘কাল হো না হো’। এই ছবিতে নয়নার চরিত্রের জন্য প্রথমে অফার গিয়েছিল কারিনা কাপুরের কাছে। তবে অভিনেত্রী নাকচ করায় সেই অফার যায় প্রীতি জিনতার কাছে।