কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে জেসমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় স্বামী ও তার দুই ভাইয়ের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় নিকলী উপজেলার জারইতলা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেসমিনের স্বামী সহ ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন নিহতের মা।
জেসমিন নিকলী উপজেলার উত্তর দামপাড়া সাহেবের হাটি গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামীর নাম মোঃ জুয়েল মিয়া।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১ বছর আগে জেসমিনের সঙ্গে জুয়েল মিয়ার বিয়ে হয়। এক সময় জুয়েল শ্বশুরবাড়ির একজনের কাছ থেকে ৩৯ হাজার টাকা ধার নেন। টাকা ফেরত দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেসমিনের সঙ্গে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সর্বশেষ মঙ্গলবার বিকেলে জেসমিনকে গলা কেটে হত্যার পর ঘরের আলমারির পেছনে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যান জুয়েল ও তার স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের মা জানান, বিয়ের পর থেকে প্রায়ই জেসমিনকে মারধর করতেন স্বামী ও শ্বশুর- শাশুড়ি। ১৫ দিন আগে জেসমিন এক ছেলে জন্ম দেন। জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরই মারা যায় নবজাতক। সন্তান মারা যাওয়ার পর থেকে জেসমিনের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় পুলিশ নিহত জেসমিনের স্বামী জুয়েল মিয়া, তার দুই ভাইয়ের স্ত্রী নূরজাহান ও খাদিজাকে গ্রেপ্তার করেছে।
