জাতীয় ডেস্ক :
রাজধানীতে দোকানের দুই কর্মচারীর ঝগড়া থেকেই নিউমার্কেটে শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সংঘর্ষে নাহিদ হত্যায় সরাসরি জড়িত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সিয়াম।
আর সংঘর্ষের সূত্রপাতকারী দোকান কর্মচারী সজীব ও বাপ্পী দুষ্কৃতকারীদের ডেকে আনে। এ তিনজনকে গ্রেফতারের পর ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছে র্যাব। বাহিনীটি জানায়, অভিযুক্তরা আত্মগোপনে গিয়ে পরিবর্তন আনে বেশভূষায়।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের সময় কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী নাহিদকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছিল যারা তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল মাহমুদুর রহমান সিয়াম। সেদিন রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল নাহিদকে। অভিযুক্ত সিয়াম ঢাকা কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
আরেকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় ইফতার বিক্রিকে কেন্দ্র করে ক্যাপিটাল ফাস্টফুডের কর্মচারীদের মারধর করতে দেখা যায় ওয়েল ফাস্টফুডের কর্মচারী সজিব ও বাপ্পীকে। এ সজিব আর বাপ্পীই পরে ডেকে এনেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতিকারীকে। ফলাফল টানা দুদিনব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
১৫ দিন পর ঘটনার সূত্রপাতকারী সজীব ও বাপ্পীকে কক্সবাজার থেকে এবং হত্যায় জড়িত সিয়ামকে শরীয়তপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এই তিনজনই ঘটনার পর চলে যান আত্মগোপনে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে পরিবর্তন করেন বেশভূষার।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেফতার ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সিয়ামের রাজনৈতিক কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। আর সেদিন সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণকারীরা সবাই ছিল বহিরাগত।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে খোঁজা হচ্ছে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে, অধিকাংশ আত্মগোপনে রয়েছে। যারা সাংবাদিকদের ওপর আঘাত করেছে তারা বহিরাগত এবং কিছু দোকান কর্মচারীও ছিল।’
নাহিদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরেক অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে র্যাব।