হোম খুলনাবাগেরহাট নারী নেতৃত্ব হারাম -নির্বাচনী জনসভায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার

নারী নেতৃত্ব হারাম -নির্বাচনী জনসভায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 88 ভিউজ

সোহাগ মোল্লা, মোংলা :

মোংলায় আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়ে ‘নারী নেতৃত্বকে হারাম’ বলে আলোচনায় এসেছেন উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার। সম্প্রতি একটি নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ ধরণের কথা বলেন। এরই মধ্যে এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাঁর ওই বক্তব্য নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা সমালোচনার।

মো. একরাম ইজারাদার ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইউপি চেয়ারম্যান হন।

এদিকে বক্তব্যটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৪১ সেকেন্ডের ভিডিও থেকে দেখা যায়, ‘আমরা গজবের ভিতর নিমজ্জিত আছি – এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। জনমনে কোন স্বস্তি নেই, শান্তি নেই; তার কারণ নারী নেতৃত্ব হারাম। আমরা নারী নেতৃত্বের অধীনে, আমরা এখানে রয়েছি। আমাদের ভোটটা দুই বার বেগম হাবিবুন নাহারকে (আওয়ামী লীগ মনোনীত বাগেরহাট-৩ আসনের প্রার্থী) দিয়ে আমরা দুইবার নারী নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করছি। তাই আমাদের এখানে কোন সুখ-শান্তি অবস্থান করে নাই। যেটা সত্য, সেই কথা আমি এখানে আপনাদের বলে গেলাম। তা, উনি একজন নারী। উনি রাজনীতি আর সমাজনীতির বোঝেন কি? কিছুই বোঝেন না।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা বক্তব্যটি শুনেছি। বক্তব্যটি যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার বলেন, মূলত আওয়ামী লীগ বা নৌকা প্রতীককে উদ্দেশ্য করে আমি এসব কথা বলিনি। জামায়াতের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ দিতে গিয়ে আমি এসব কথা বলেছি। এছাড়া উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বিভিন্ন সময় তাঁর বরাদ্দ থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছেন। যার কারণে আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের (ঈগল প্রতীক) নির্বাচন করছি।

মোংলা-রামপাল নিয়ে গঠিত বাগেরহাট-৩ আসনে এবার সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের সাথে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী (জেলা আওয়ামী লীগের লীগের সহ-সভাপতি) ইদ্রিস আলী ইজারাদারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুই প্রার্থী নিজ নির্বাচনী এলাকায় দিনরাত চালাচ্ছেন প্রচারণা ও জনসংযোগ। সভা, সমাবেশ, উঠোন বৈঠক ও লিফটে বিতরণ করে ভোট চাচ্ছেন তারা।

তবে ব্যতিক্রম এই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া অপর পাঁচ প্রার্থীর ক্ষেত্রে। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী জাতীয় পার্টির মনিরুজ্জামান মনি, তৃণমূল বিএনপির ম্যানুয়েল সরকার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের শেখ নুরুজ্জামান মাসুম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মফিজুল ইসলাম গাজী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) সুব্রত মন্ডলকে চেনেনই না মোংলা-রামপালের অধিকাংশ মানুষ। নেই তাদের তেমন কোন নির্বাচনী প্রচারণাও।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন