নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণে চার শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় মিলের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৫ মে) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল হকের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা কারখানাটি পরিদর্শন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কারখানাটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এছাড়া এ ঘটনায় ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কারখানাটি পরিদর্শনে আসেন। সেখানে আমিসহ বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও ছিলেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌখিকভাবে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন। আমাকে আহ্বায়ক এবং বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাকে সদস্য করার কথা তিনি বলেছেন। তবে এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি লিখিত কোনো নির্দেশনা পাইনি। লিখিত নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী কাজ করব।’
এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ দেয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা বা অভিযোগ না দিলে দোষীদের অভিযুক্ত করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে জানান রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ।
বৃহস্পতিবার (০৪ মে) বিকেলে উপজেলার সাওঘাট এলাকায় অবস্থিত রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড কারখানায় লোহা গলানোর ভাট্টি (চুল্লি) বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই এক শ্রমিক নিহত ও ছয় শ্রমিক দগ্ধ হন। পরে গুরুতর অবস্থায় দগ্ধদের রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।