হোম খুলনাবাগেরহাট নানা সংকটেও শতভাগ সেবা দিচ্ছে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নানা সংকটেও শতভাগ সেবা দিচ্ছে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 100 ভিউজ

জসিম উদ্দিন,বাগেরহাট:

অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে একদিনে ১১টি সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ। (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত একটানা চলা এ অপারেশনে ১১ জন প্রসূতির ১১জন নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়।১১ জন মা ও তাদের সন্তানরা সুস্থ রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন জানান, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে সপ্তাহে একদিন শুধুমাত্র সোমবার রুটিন অপারেশন চালু রাখা হয়েছে। একদিনে করা অপারেশনের অতিতের সকল রেকর্ড ভেঙে এ সোমবার ১১ জন গর্ভবতী মায়ের সিজারিয়ান সেকশন অপারেশন হয়েছে। যেহেতু সপ্তাহে একদিন মাত্র অপারেশন ব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব হয়েছে তাই ওইদিন যত রোগী আসে কিংবা ইমারজেন্সি সিচুয়েশন তৈরি হয়, সেই রোগীদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয় অপারেশন করার। কাউকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।

সোমবার বিলম্বিত প্রসব নিয়ে রোগী ভর্তি ছিলেন ৫ জন, পূর্বে সিজারিয়ান সেকশনের ইতিহাস নিয়ে রোগী ভর্তি ছিলেন ২ জন। গর্ভবতী মায়ের পানি ভেঙে যাওয়া ও সন্তানের নড়াচাড়া কম বুঝতে পাওয়া এবং ডেলিভারি ডেট অতিক্রম হয়ে যাওয়া পোস্ট ডেটেড প্রেগনেন্সি রোগী ছিলেন ৪ জন। মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলেন একজন, যার পূর্বে সিজারের সেকশনের ইতিহাস ছিল।

ডা. মো. শাহীন বলেন, কনকনে শীতে সব রোগীদের ভরসা ও শেষ আশ্রয়স্থল মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। তাই এই রকম বৈরী আবহাওয়ার ভেতর সকল মা ও বাচ্চার কথা মাথায় রেখে সীমিত জনবল ও যন্ত্রপাতি নিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ সকল অপারেশন সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। মা ও বাচ্চা সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।

সফল এই অপারেশনে নিরলসভাবে সেবা প্রদান করেন অপারেশন টিমের লিডার ডা. সিরাজুম মুনিরা মিতু, ডা. আফসানা নাঈমা হাসান, ডা. নুরজাহান নিশাদ, ডা. আল মামুন, নার্সিং কর্মকর্তা বিউটি সরকার, ওয়ার্ড বয় সুমন হোসাইন ও প্রান্ত মন্ডল প্রীতম।

ডা. মো. শাহীন আরও বলেন, হাসপাতালটিতে ২৮ জন চিকিৎসকের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৮ জন। এই স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসক প্রতিনিয়ত তাদের নিয়মিত ডিউটির বাহিরে গিয়েও আন্তরিকতার সঙ্গে অতিরিক্ত ডিউটি করে এখানকার জনসাধারণকে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমি খুব ভালো একটা টিম পেয়েছি, ডিউটি থাকুক আর না থাকুক তাদেরকে যখনই কল করা হয়, দিন আর রাত নেই তারা হাজির হয়ে যান। তাদের সকলের আন্তরিকতার কারণেই হাসপাতালে আগত সকল রোগীকেই আমরা শতভাগ সেবা প্রদান করতে পারছি। একজন রোগীরও সেবা না নিয়ে ফিরে যাওয়ার কোনো নজির নেই। নানা সংকটে থেকেও আমরা শতভাগ প্রাণপণ সেবা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন