হোম খুলনাসাতক্ষীরা নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত

নানা আয়োজনে সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস পালিত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 55 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

নানা আয়োজনে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে গৌরবোজ্জ্বল সাতক্ষীরা মুক্তদিবস। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় সাতক্ষীরা জেলা। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সাতক্ষীরা জেলা ইউনিট বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় নিরবতা পালন, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসব কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন জেলার বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তাদের স্বজনরা।
শোভাযাত্রা শেষে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুজ্জামান খোকন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মোস্তফা নুরুল আলম, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর করিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা মইনুল ইসলাম মইন, বীরমুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার দাস প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিক আহমেদ মোল্লা।
বক্তারা এসময় বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চায়। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ঔষধবাবদ প্রত্যেকের ৭৫হাজার টাকা দেয় সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে গেলে মুক্তিযোদ্ধারা চিকিৎসা পায়না, ঔষধ পায়না। এমনকি বসার জায়গা পর্যন্ত পায়না। এটা খুবই দুঃখজনক। বক্তারা আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান অখুন্ন রাখতে আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠতে হবে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলার শিকারে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন বক্তারা।
মুকিাযোদ্ধা সংসদের আহŸায়ক শহিদুল ইসলাম এসময় সাতক্ষীরার মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনার স্মৃতি তুলে ধরেন জানান, ২ মার্চ সাতক্ষীরা শহরে পাকিস্তান বিরোধী মিছিলে গুলিতে আবদুর রাজ্জাক নিহত হওয়ার পর জেলায় আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। মুক্তিযুদ্ধের খরচ জোগাতে মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেজারি থেকে অস্ত্র এবং ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে টাকা ও অলংকার সংগ্রহ করেন। ২৭ মে ভোমরা সীমান্তের সম্মুখ যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনার দুই শতাধিক সদস্য নিহত এবং তিনজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পরবর্তী গেরিলা অভিযানে শহীদ হন আরও ৩৩ জন। ৩০ নভেম্বর রাতের টাইম বোমা বিস্ফোরণে সাতক্ষীরার পাওয়ার হাউস উড়িয়ে দিলে পাকিস্তানি বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়ে এবং ৬ ডিসেম্বর রাতে তারা বিভিন্ন সেতু উড়িয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও সাতক্ষীরার অনেক বধ্যভূমি ও গণকবর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তিনি এসময় বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন