অনলাইন ডেস্ক :
করোনা উপসর্গ থাকায় নাটোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা চিকিৎসা না দেওয়ার কারণে আব্বাস আলী গাজী নামে এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। এনিয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজ, সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
তবে সদর হাসপাতালের আরএমও’র দাবী মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী গাজীকে তাৎক্ষনিক ভাবে চিকিৎসা প্রদান করে তাকে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তির জন্য তাদের স্বজনদের পরামর্শ দেন। কিন্তু তার স্বজনরা সেখানে ভর্তি না করে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসায় কোন অবহেলা করা হয়নি মুক্তিযোদ্ধার পরিবার জানায়, তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে রোববার সকালে সদর উপজেলার আগদিঘা কাটাখালী গ্রামের বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী গাজীকে নাটোর শহরের সততা ক্লিনিকে নিয়ে এলে তারা বাবার বেশ কিছু টেস্ট করান।
টেস্ট করা পর তারা বাবাকে আবারও সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা বাবাকে ভর্তি নেননি। আবারও বাবাকে সততা ক্লিনিকে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক দেখে কিছু ওষুধ লিখে দেয় এবং বাবার আরেকটি পরীক্ষা করা হয়। বাবাকে অক্সিজেন ও নেবুলাইজার দেওয়া অবস্থায় মারা যান।
সততা ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে মালিক আব্দুল আওয়াল রাজা বলেন, শ্বাস কস্ট থাকায় আমরা তাকে সাধ্যমত চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এদিকে, খবর পাওয়ার পর সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজ, সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, বিনা চিকিৎসায় কোন মানুষের মৃত্যু হবে এটা মেনে নেয়া যায়না। দোষিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা.আমিনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গোলাম মো: কাজী ওরফে রাসেল মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী গাজীকে তাৎক্ষনিক ভাবে চিকিৎসা প্রদান করে তাকে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তির জন্য তাদের স্বজনদের পরামর্শ দেন। কিন্তু তার স্বজনরা সেখানে ভর্তি না করে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসায় কোন অবহেলা করা হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি। হাসপাতালের আরএমও এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাখে কথা বলেছি। তারপরও আমরা সোমবার একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করবো প্রকৃত ঘটনার রহস্য উম্মোচনে।